News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

উদ্ধার অভিযানের ২৪ ঘণ্টা: ৩৫ ফুট গভীরেও খোঁজ মেলেনি শিশু সাজিদের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-12-11, 2:29pm

c43d2190c87aa7e50278a2c24724445b9a518a6be014e1e1-3ebe58498ad272d60e12b46cb30326b81765441790.jpg




রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে ৩৫ ফুট গভীর সমান্তরাল গর্ত খুঁড়েও এখন পর্যন্ত শিশুটির কোনো সন্ধান বা অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া এই উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত টানা চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, নলকূপটির পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে প্রায় ৩৫ ফুট গভীর একটি বড় গর্ত খোঁড়া হয়েছে। সেখান থেকে সুড়ঙ্গ তৈরি করে মূল গর্তে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই গভীরতাতেও সাজিদের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এর আগে গর্তে বিশেষ ক্যামেরা নামিয়ে শিশুটির অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ৩৫ ফুট গভীরে গিয়ে ক্যামেরাটি আটকে যায় এবং সেখানে সাজিদকে দেখা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, শিশুটি হয়তো ৪০ ফুটেরও বেশি নিচে পড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, নলকূপটির গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট। শিশুটি এর যেকোনো স্থানে আটকে থাকতে পারে। ৩৫ ফুট নিচে না পাওয়ায় এখন উদ্ধার কৌশলে পরিবর্তন আনা হতে পারে। ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন মহাপরিচালক ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছেন, তিনি পরবর্তী উদ্ধার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবেন। প্রয়োজনে আরও উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হবে।

বুধবার দুপুরে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শিশু সাজিদ তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি জমি পার হচ্ছিল। জমিটি খড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সাজিদের মা জানতেন না যে খড়ের নিচেই রয়েছে একটি অরক্ষিত গভীর নলকূপের গর্ত। হাঁটার সময় হঠাৎ সাজিদ গর্তে পড়ে যায়। পেছন থেকে ‘মা মা’ চিৎকার শুনে মা ফিরে দেখেন সাজিদ নেই। খড় সরাতেই বেরিয়ে আসে মৃত্যুকূপ।

স্থানীয়রা জানান, গত বছর স্থানীয় এক ব্যক্তি এখানে গভীর নলকূপ স্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু ১২০ ফুট নিচেও পানি না পাওয়ায় পাইপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় মুখ খোলা রেখেই ফেলে রাখা হয়। গত বছরের বৃষ্টিতে গর্তটির মুখ আরও বড় হয়। কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বা ঢাকনা না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন হাজারো উৎসুক জনতা। গর্তের পাশেই নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সাজিদের মা। সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আশায় চলছে বিরামহীন কান্না ও দোয়া। দুর্ঘটনার পরপর শিশুটির সাড়াশব্দ পাওয়া গেলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেতর থেকে আর কোনো আওয়াজ আসছে না, যা উদ্ধারকর্মীদের শঙ্কিত করে তুলেছে। তবে গর্তের ভেতরে অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। মেডিকেল টিম ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শিশু সাজিদকে অক্ষত ও জীবিত উদ্ধার করাই তাদের মূল লক্ষ্য এবং সে অনুযায়ী তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।