চির চেনা হাঁকডাক, যানবাহনের হর্ন আর কর্মব্যস্ত মানুষের ছুটে চলা। গতিশীল ঢাকা ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছে তার স্বরূপ।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঈদ উল ফিতরের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে খুলেছে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কার্যালয়। খুলেছে ব্যাংক- বীমা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাই প্রিয় সহকর্মীর সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলন। ২৪ ঘণ্টার হিসাবে প্রায় অর্ধেক সময় কাটানো প্রিয় জনের সঙ্গে উষ্ণ আলিঙ্গন। চলে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, ‘সরকারি ছুটির কারণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ছুটি দেয়া হয়েছে। সবার মাঝে আনন্দ দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ ছুটিতে আমরা আরও রিফ্রেশ হয়েছি। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারছি।’
এদিকে বিভিন্ন পোশাক কারখানা সকাল থেকেই ছিল কর্মমুখর। ছুটি শেষে কারখানার প্রাণ পোশাক শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারীরা যোগ দেন কর্মস্থলে। একযোগে উৎপাদন কাজ শুরু হয়েছে সাভারে ইপিজেডসহ প্রায় এক হাজার ৮০০ কারখানায়। কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে শ্রমিকদের মাঝে।
পোশাককর্মীরা বলেন, ‘আমাদের এবার আগেভাগে ধাপে ধাপে ছুটি দিয়েছে। এ জন্য খুব ভালো হয়েছে। বাড়ি গিয়ে ভালোভাবে ঈদ করেছি। কোনো সমস্যা হয়নি।’
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ছিল যানবাহনের চাপ। প্রায় প্রতিটি মোড়ে লম্বা লাইনে দেখা গেছে যানজট। আগের থেকে কার্যক্রম বাড়িয়েছে ট্রাফিক পুলিশও। কর্মতৎপরতা বেড়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবার। এ কদিনের স্বস্তির সময় রূপ নিয়েছে ব্যস্ততায়।
ঢাকায় ফেরা এক যুবক বলেন, ‘কাল থেকে দেখলাম মানুষ ঢাকায় ফেরা শুরু করেছে। আগে রাস্তা ফাঁকা ছিল। আজ রাস্তায় একটু যানজট ছিল।’
ট্রাফিক পুলিশ বলেন, ‘গাড়ি একটু একটু করে বাড়ছে। আমাদের লোক সেট করা আছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা আছেন। সবাই মিলে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছি।’
এদিকে আজও, ছুটি শেষে বাস, ট্রেন আর লঞ্চে রাজধানীতে ফিরেছেন মানুষ। আগামী কয়েকদিনেই আবার আগের রূপে ফিরবে ঢাকা মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।সময় সংবাদ