ব্রিটেন আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিনের মিত্র ইসরায়েলের প্রতি এই তীব্র বিরোধিতা দেশটির নীতিগত পরিবর্তন।
যুক্তরাজ্য ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েলের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিল। তবে ২০২৩ সালে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর দেশটি গাজায় অবিরাম জোরদার হামলা চালিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্য তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
লন্ডন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি তখন থেকে ব্যাপক ধ্বংস, মৃত্যু ও খাদ্যের অভাবের শিকার হওয়ায়, সেখানে এক বড় ধরনের মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার জুলাই মাসে বলেন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সময় পর্যন্ত ইসরায়েল যদি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ‘বাস্তবিক পদক্ষেপ’ না নেয়, তবে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
বিবিসি ও প্রেস অ্যাসোসিয়েশনসহ বেশ কটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি রোববার এই স্বীকৃতি ঘোষণা করবেন।
জুলাই মাসে স্টারমার আরও বলেছিলেন যে এই পদক্ষেপ দ্বি রাষ্ট্রীয় সমাধানের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে একটি সঠিক শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখবে।
এর জবাবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার প্রতি ‘ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদকে’ পুরস্কৃত করার ও ‘জিহাদি’ মতাদর্শকে তুষ্ট করার অভিযোগ আনেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে সম্ভাব্য ঘোষণাটি আসে। সেখানে ব্রিটেনের জি৭ অংশীদার ফ্রান্সসহ প্রায় ১০টি দেশও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ঘোষণাটি এমন এক সময় এলো, যখন ইসরায়েল গাজা সিটি দখলের জন্য নতুন করে ব্যাপক হামলা শুরু করছে। গাজায় জাতিসংঘ দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে।
এএফপির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ওই হামলা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযানে কমপক্ষে সেখানে ৬৫ হাজার ২০৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ এই তথ্যকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে।