News update
  • Israeli Assault Has Plunged Gaza Into Worst Economic Collapse     |     
  • Woman sent to jail on charges of killing 8 puppies in Pabna     |     
  • UN Assembly Urges Decisive Action to Resolve Israel-Palestine Conflict     |     
  • Sediment-borne fertility transforms northern Bangladesh     |     
  • 3 Armed Forces Chiefs, Jamaat Ameer visit Khaleda Zia at Hospital     |     

সব শেষ হলেও লিফটের কারণে চালু হচ্ছে না নড়াইলের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক হাসপাতাল 2025-12-04, 7:48am

ef0421d807a1673e06aabca3cd77116ecfc19fe61d32390d-88131528f2ff0e7faaceaa51f7d9fa4a1764812886.jpg




দীর্ঘ আট বছরেও শেষ হয়নি নড়াইলের ২৫০ শয্যার নির্মাণ কাজ। ১০০ শয্যার হাসপাতালটি গড়ে প্রতিদিন ধারণ ক্ষমতার প্রায় চারগুণ রোগীর সেবা দিচ্ছেন। অথচ পাশেই দাঁড়িয়ে আছে নতুন ঝকঝকে সুউচ্চ ৯ তলা ভবনটি। তবে লিফটের কাজ শেষ না হওয়াতে ২৫০ শয্যা হাসপালটির উন্নত সেবার আশা যেন দিন দিন নিরাশায় প্রতিচ্ছবির আরেক রূপ। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ভবন হস্তান্তর আর হাসপাতাল চালুর ব্যপারে জানা নেই স্বাস্থ্য বিভাগের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিঁড়ি তলা থেকে বারান্দা (করিডোর) কোথাও যেন পা ফেলার জায়গাটুকুও ফাঁকা নেই। রোগী আর স্বজনদের এমন ভিড়ের দৃশ্য যেন নিত্যদিনের চিত্র নড়াইল জেলা শহরের একমাত্র ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলটির। গড়ে প্রতিদিন ধারণ ক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ রোগীর চাপ সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হাসপাতালটির।

হাসপাতালটিতে সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতালটির ফ্লোর, করিডোর, সিঁড়ি তলায় মাদুর আর চাঁদর মেলে রোগী নিয়ে অবস্থান করছেন অন্তত ২৫০ জন রোগীর স্বজনরা। একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে রোগীদের সংক্রমণের শঙ্কা নিয়ে অনেকটা নিরুপায় হয়েই একটু উন্নত চিকিৎসার আশায় মানবেতর ভাবে হাসপাতালে অবস্থান করছেন তারা।

তবে সব ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সব ধরনের অস্ত্রোপচারের সুবিধা না থাকাসহ হাসপাতালটির নাজেহাল অবস্থায় এক থেকে দুই দিনের মধ্যে সদর হাসপাতাল ছেড়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেলসহ ঢাকায় রোগী স্থানান্তর করতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্রুত ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বাস্তবায়ন চায় সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

জেলা গণপূর্ত বিভাগের তথ্য বলছে, গত ২০১৭ সালে নড়াইলে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মূল ভবন, সার্ভিস ভবন ও চিকিৎসকদের জন্য ডরমেটরি ভবন নির্মানে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালের জুন মাসে ৮টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান  ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ৮ তলা ভবনসহ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। যার প্রস্তাবিত মূল্য ধরা হয় ৬১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৯ম তলায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ নির্মাণের কাজে প্রস্তাবিত মূল্য ধরা হয় ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।  তিন দফা মেয়াদ বাড়িয়ে গত বছরের জুনে কাজের মেয়াদ শেষে হস্তান্তরের কথা থাকলেও নকশা জটিলতায় লিফটের বাটনে ঝুলে আছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া।

নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. আব্দুল গফ্ফার সময় সংবাদকে বলেন, সীমিত জনবলসহ নানাবিধ সংকটের মাঝে ধারণ ক্ষমতার প্রায় চারগুণ রোগীর সেবা দিচ্ছে নড়াইল সদর হাসপাতাল। ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। এটি একটি বহুমুখী হাসপাতাল।  রোগী রাখার স্থান চতুর্থ তলার উপরে। যে কারনে লিফটের কাজ সম্পন্ন না করে কোনোভাবে হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব নয়।  লিফটের সমস্যা সমাধান করে কবে নাগাদ হস্তান্তর করবেন, সেটা গণপূর্তই বলতে পারবেন।

হস্তান্তরের পর কতদিন নাগাদ সেবা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবন প্রস্তুত হলে, লোকবল নিয়োগ সহ আনুষাঙ্গিক অনেক বিষয় বাকি থেকে যায়। মন্ত্রণালয়ের আন্তরিকতায় সেটা হস্তান্তর পরবর্তী আর এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চালু হতে পারে।

এদিকে জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মু. সারোয়ার হোসেইন বলেন, লিফটের কাজ শেষ না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের তাছে ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি হস্তান্তর করা সম্ভব হয় নি।  ১২৫০ কেজির চারটি  লিফট (প্যাসেনঞ্জার কাম বেড লিফট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে ডিপিপি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে অনুমোদন সাপেক্ষে লিফটের কাজ শেষ করে আমরা হস্তান্তর করতে পারবো।

২০০৭ সালে জেলা শহরের ৫০ শয্যার হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হয়। আর ২০১৭ সালে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করনে ডিপিপি অনুমোদন দেয় তৎকালীন সরকার। সময়