News update
  • 2 killed as bus hits truck on Dhaka-Chattogram highway     |     
  • Chief Adviser seeks prayers for Khaleda Zia’s recovery     |     
  • Southeast Asia Floods Kill Over 250, Thousands Displaced     |     
  • Trump Vows to Halt Migration From ‘Third World’ Nations     |     
  • Journos should strengthen themselves to secure rights: Fakhrul     |     

গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-08-22, 5:45pm

2aff8b43cb4c75610f31b391320c4bded7a7a78feafaf339-8247c0f32aaa11d409b8c92a58fe9b2e1755863151.jpg




ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা দ্য ইনটিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)।

বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট ও ক্ষুধা পরিস্থিতি নজরদারি করা সংস্থাটি বলেছে, গাজার অন্তত একটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং সম্ভবত আগামী মাসের মধ্যে তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

মূলত সর্বাত্মক ইসরাইলি অবরোধের কারণে গত কয়েক মাস ধরেই গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শত শত ফিলিস্তিনি ক্ষুধা ও অনাহারে মারা যাচ্ছে। তবে ইসরাইলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার তা অস্বীকার করে আসছে।

অবশেষ আইপিসি এই প্রথমবারের মতো গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করল। সংস্থাটির এ মূল্যায়ন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আরও ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন জানিয়েছে, ৫ লাখ ১৪ হাজার মানুষ তথা গাজার প্রায় এক-চতুর্থাংশ ফিলিস্তিনি এই মুহূর্তে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন এবং সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৪১ হাজারে পৌঁছাবে। 

এসব মানুষের মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলে বাস করে - যা গাজা গভর্নরেট নামে পরিচিত। এলাকাটি এখন পুরোপুরি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে বলে জানিয়েছে আইপিসি।  মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলের দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে আগামী মাসের শেষ নাগাদ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে আইপিসি। 

ইসরাইল বরাবরের মতো আইপিসির এই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা ও পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আর গাজায় ত্রাণ বিতরণ সমন্বয়কারী ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, আইপিসির জরিপটি ‘হামাসের কাছ থেকে প্রাপ্ত আংশিক তথ্য’-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত হতে হলে সেই অঞ্চলের কমপক্ষে ২০ শতাংশ মানুষকে চরম খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হতে হবে। সেই সঙ্গে যেখানে প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভোগে এবং প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে দুজন প্রতিদিন অনাহার বা অপুষ্টি এবং রোগে মারা যায়। 

এমনকি কোনো অঞ্চল দুর্ভিক্ষের শর্তগুলো পূরণ না করলেও আইপিসি নির্ধারণ করতে পারে যে, সেখানকার পরিবারগুলো দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। যাকে তারা অনাহার, দারিদ্র্য ও মৃত্যু হিসাবে বর্ণনা করে।

আইপিসির প্রতিবেদনের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক শুক্রবার বলেছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ ইসরাইলি সরকারের পদক্ষেপের সরাসরি ফলাফল। সেই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, জোরপূর্বক অনাহারে হত্যা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।

ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং আরও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ সম্প্রতি জানায়, সংঘাত শুরুর প্রায় দুই বছর পর গাজার মানবিক সংকট ‘অকল্পনীয় পর্যায়ে’ পৌঁছেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের গাজায় ‘মহাকাব্যিক মানবিক বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়েছে।