News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

ভেঙে যাচ্ছে পিকেকে, তুরস্কে সংঘাতের অবসান হবে কি?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-05-13, 7:42am

pikeke_thaamb-22a92fed9cfd211c150ece806a754fad1747100527.jpg




স্বাধীন কুর্দিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে থাকা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এক ঘোষণায় জানিয়েছে, সংগঠনটি ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, পাশাপাশি নিরস্ত্রীকরণের চিন্তভাবনাও করছে তারা। এর ফলে তুরস্কে কয়েক যুগ ধরে চলতে থাকা সংঘাত অবসানে নতুন পথ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

সোমবার (১২ মে) সশস্ত্র সংগঠনটির ঘনিষ্ঠ বার্তা সংস্থা ফিরাত জানায়, প্রায় চার দশকের সংঘাত অবসানে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আঙ্কারার এই উদ্যোগ সফল হতে চলেছে সংগঠনটির কারাবন্দি নেতা আব্দুল্লাহ ওকালানের সাম্প্রতিক ইতিবাচক ভূমিকার কারণে। গত ফেব্রুয়ারিতে ওকালান পিকেকে সংগঠনটির প্রতি অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার ডাক দেন।

এরই ধারবাহিকতায় গত শুক্রবার ইরাকের উত্তরাঞ্চলে দলটির শেষ হওয়া কংগ্রেস থেকে জানানো হয় পিকেকে একটি ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে’ পৌঁছাতে পেরেছে যা খুব শিগগিরই সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া হবে।

বার্তা সংস্থা ফিরাত এক প্রতিবেদনে জানায়, পিকেকের ওই কংগ্রেসে ওকালানের ‘প্রেক্ষাপট ও প্রস্তাবনা’ বিষয়ক একটি বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়।

সোমবার ফিরাতের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিবৃতির সূত্র থেকে বলা হয়, পিকেকে ঘোষণা করেছে যে তাদের সশস্ত্র সংগ্রাম কুর্দিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নীতিমালার প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

বিবৃতি অনুসারে বলা হয়, পিকেকে তাদের ঐতিহাসিক মিশন সম্পন্ন করেছে। দলের দ্বাদশ কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পিকেকে তার সাংগঠনিক কাঠামো বিলুপ্ত করতে যাচ্ছে এবং এর সঙ্গে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ থেকে সরে আসছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর ফলে পিকেকে’র নামে চালানো তৎপরতা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলোপ করা হলো।

এই ঘোষণার ফলে উত্তর ইরাক ও সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সংঘাত, যা এই পুরো অঞ্চলকে জর্জরিত করে রেখেছিল তার সম্ভাব্য সমাপ্তির একটি ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৮০ সালের পর থেকে চলতে থাকা এই সংঘাতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

পিকেকে জানিয়েছে, কুর্দি জনতা শান্তিকে গ্রহণ করতে ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারায় নিজেদের সংযুক্ত করতে প্রস্তুত। সিরিয়ায় নতুন প্রশাসন, লেবাননে হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীর দুর্বলতা এবং গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধসহ এই অঞ্চলের উল্লেখ করার মতো পরিবর্তনের ফলেই পিকেকের এই ঘোষণা এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।