News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

ইসরাইলী হামলায় দুই সাংবাদিকের মৃত্যুর নিন্দা আল জাজিরার

গ্রীণওয়াচ ডেক্স সংঘাত 2024-01-08, 10:58am

slofisfiopsp-a11eaec6457bb13768b8c5b073dfab221704689922.jpg




হামাস-পরিচালিত গাজা কর্তৃপক্ষ বলেছে, রাফাহ শহরের কাছে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের সময় গাড়িতে করে চলাচল করার সময় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুজন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। আল জাজিরা ওই দুজন সাংবাদিকের মৃত্যুতে নিন্দা জানিয়েছে। নিহত দুজনের মধ্যে একজন আল জাজিরার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ছিলেন।

মুস্তাফা থুরিয়া এএফপির ভিডিও স্ট্রিংগার ছিলেন। হামজা আল-দাহদুহ ছিলেন আল জাজিরার স্ট্রিংগার এবং গাজায় টিভি নেটওয়ার্কের ব্যুরো চিফ ওয়ায়েল আল-দাহদুহের ছেলে। তৃতীয় আরেকজন ফ্রিল্যান্সার হাজেম রজব হামলায় আহত হয়েছেন।

যুদ্ধের শুরুতে ওয়ায়েল আল-দাহদুহ তার স্ত্রী, অন্য দুই সন্তান আর একজন নাতিকে হারিয়েছিলেন। তিনি নিজেও প্রায় মারা যাচ্ছিলেন ।

কাতার-ভিত্তিক আল জাজিরা নেটওয়ার্ক এক বিবৃতিতে বলেছে, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো "নিঃসন্দেহে সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে নৃশংস এই হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরাইলি বাহিনীর দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করে; তাদের (ইসরাইলি বাহিনীর) লক্ষ্য ছিল তাদেরকে (সাংবাদিকদের) মিশন সম্পাদন করা থেকে নিরুৎসাহিত করা, সাংবাদিকতার স্বাধীনতার নীতি লঙ্ঘন করা।"

আল জাজিরা “ইসরাইলকে তার জঘন্য অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, সরকার, মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘের” প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং “সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু ও হত্যা বন্ধ করার” দাবি জানিয়েছে।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তবে ১৬ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে গাজায় আল জাজিরার আরেক সাংবাদিকের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সেনাবাহিনী বলেছে, “আইডিএফ কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করেনি এবং করবেও না।”

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধের প্রথম দশ সপ্তাহে ওই ভূখণ্ডে ৭৭ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭০ জন ফিলিস্তিনি, ৪ জন ইসরাইলি এবং ৩ জন ছিল লেবানিজ।

এর আগে এক বিবৃতিতে সিপিজে সভাপতি জোডি গিন্সবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা সিপিজের ইতিহাসে অভূতপূর্ব এবং এ থেকে কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য পরিস্থিতি কতটা গুরুতর তা বোঝা যায়।

৭ অক্টোবর ইসরাইলে সন্ত্রাসী হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্য একটি গোলাবারুদের বাক্সে পরিণত হয়েছে। ইসরাইল বলেছে, ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস ২৪০ জনকে জিম্মি করেছে এবং প্রায় ১২০০ জন ওই হামলায় নিহত হয়। কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে গাজায় এখনো প্রায় ১৩০ জন বন্দী রয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের হামলায় গাজায় ২২ হাজার ৬০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বড় একটি অংশ নারী ও শিশু। কোনো পক্ষই সামরিক সদস্য এবং বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করেনি।