News update
  • Report sensitive events responsibly: Police HQ urges media     |     
  • UN chief Guterres arriving Thursday with packed schedule     |     
  • Nylon net-fence along Sundarbans to stop man-tiger conflicts     |     
  • Action urgently needed to stop rise in child trafficking - UN report     |     
  • On Women’s Day, Palestinian Women Fight for Survival      |     

রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দিতে বাংলাদেশের প্রতি ফোর্টিফাই রাইটসের আহ্বান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-03-13, 7:33am

img_20250313_073120-414268e9d464401dc46e87876fcb345a1741829599.jpg




মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান রাজ্যে গৃহযুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে এখনই করিডোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস। 

বুধবার (১২ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সরকার ও আরাকান আর্মির প্রতি এই আহ্বান জানায় থাইল্যান্ডভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি।

তথ্য–প্রমাণ বিশ্লেষণ করে ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার পদ্ধতিগতভাবে রাখাইনে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে সীমান্তের উভয় পাশে মানবিক চাহিদা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৫ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। আর ২০ লাখেরও বেশি জরুরি খাদ্য, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহের চাহিদায় রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস, মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, যা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার স্বার্থকে রক্ষা করছে।

ফোর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার সহযোগী এজাজ মিন খান্ত বলেন, অধিকার রক্ষাকারী দেশগুলোর উচিত মিয়ানমারের চাহিদা সম্পন্ন সম্প্রদায়ের কাছে জীবন রক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহ সহজতর করার জন্য সকল সম্ভাবনা অন্বেষণ করা। বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে একটি মানবিক করিডোর চালু করা সকল সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ পদক্ষেপ না নিলে প্রাণহানি হবে। 

ফোর্টিফাই রাইটস নথিভুক্ত করেছে যে কীভাবে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সাহায্য সরবরাহের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যার ফলে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জান্তা বাণিজ্য পথও বন্ধ করে দিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি আরও বাড়িয়েছে। এর মধ্যে  ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালে মিয়ানমারের প্রত্যাশিত সাহায্য ২৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমিয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে মানবিক ত্রাণের জন্য নির্ধারিত ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও রয়েছে। যা দেশের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের উপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আরটিভি।