News update
  • Passenger bus in northern India catches fire: 20 people burn to death     |     
  • Voting start in Ctg Varsity Central Students Union elections      |     
  • Death toll in Mirpur factory, chemical godown fire rises to 16     |     
  • Humanitarians Urge Donors as Global Aid Remains Severely Short     |     
  • Sami’s five-for 33 seals Afghanistan’s 200-run rout of Bangladesh     |     

টাইফয়েডে এখনও মৃত্যু হয়, এটা আমাদের জন্য লজ্জার : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2025-10-12, 2:26pm

ertretreter543-c12f5c79614b0553a63a18393b925bbf1760257583.jpg

রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। ছবি : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়



স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, দেশে টাইফয়েডে এখনও শিশুর মৃত্যু হয়, এটা আমাদের জন্য অনেক লজ্জার। ডায়রিয়া, রাতকানা রোগের মতো এবার আমরা টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হবো ইনশাআল্লাহ।

আজ রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

টাইফয়েড টিকাদানের মতো উদ্যোগ জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে মন্তব্য করে উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা যদি প্রতিটি শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে দেশে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা কার্যত বন্ধ করা সম্ভব হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো রোগ প্রতিরোধ করা। যত বেশি মানুষ বিশেষ করে শিশুদের প্রতিরোধমূলক টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে। টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা সচেতনতা ও টিকাদানের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

দেশব্যাপী শুরু হওয়া এই কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। টিকাদান চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে টিকা পেতে জন্মসনদ থাকা বাধ্যতামূলক নয়।

টিকা বিতরণের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার জোট গ্যাভি-র মাধ্যমে টাইফয়েডের টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘টাইফয়েডের টিকা নিরাপদ। নেপাল ও পাকিস্তানসহ আরও আটটি দেশে এটি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে টাইফয়েডের সংক্রমণ বেশি। ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ সার্ভে ২০২১’-এর তথ্যমতে, দেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। টাইফয়েডে যারা মারা যায় তাদের ৬৮ শতাংশই শিশু।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এক মাসের মধ্যে এত বিপুলসংখ্যক শিশুকে টিকার আওতায় আনার ঘটনা দেশে এটাই প্রথম।