
গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আপাতত লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা এতই নাজুক যে, তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে স্থানান্তরের ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা বেশ জটিল অবস্থায় রয়েছে। ৮০ বছর বয়সী এই নেত্রী বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্রমতে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ অন্যান্য সমস্যা এখনও অপরিবর্তিত। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁকে ঢাকায় রেখেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হবে। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কাতার আমিরের পক্ষ থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় আনার প্রক্রিয়াও স্থগিত করা হয়েছে। যদিও জার্মানভিত্তিক এয়ারলাইনস এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ঢাকায় অবতরণের অনুমতি দিয়েছিল, কিন্তু খালেদা জিয়ার বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান মেডিকেল বোর্ডের বাকি সদস্যদের সঙ্গে থেকে চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করছেন। চিকিৎসকেরা এখনও তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থাকে ‘গুরুতর’ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ হলো, কিডনি কার্যক্ষমতায় স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত সামগ্রিক শারীরিক অবস্থায় স্থায়ী উন্নতি আসা কঠিন।
এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে ৫ ডিসেম্বর, পরে ৭ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত শনিবার বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। তবে, তার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থার অর্থাৎ দীর্ঘ যাত্রার ধকল নিতে শারীরিকভাবে উপযোগী কি না, সেটার ওপর।