বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভয়ভীতি সৃষ্টি করে টিকে থাকার একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে সরকার রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসকে বেছে নিয়েছে। অবৈধ শাসন টিকিয়ে রাখতে আইনের ব্যবহার করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। যারা রাষ্ট্রপতি বানাচ্ছে, সবাই তো অবৈধ। সরকার পতনে আন্দোলন জোরদার হবে। বিশ্ববাসী বলছে, দখলদারদের পতন ছাড়া গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জনসমর্থনহীন অনির্বাচিত দখলদার সরকারের টিকে থাকার অস্ত্র ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা। ভীতির পরিবেশ তৈরি করে জনগনকে চাপের মধ্যে রাখা। আ.লীগ এখন রাজনৈতিকভাবে পরাজিত শক্তি। রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আ.লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আ.লীগ আইনকে ব্যবহার করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগের একটি অংশ আ.লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে ও টিকে থাকতে আইনকে নিজেদের মতো ব্যবহার করছে।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, আ.লীগের অর্থনীতির মডেল জনগনের টাকা লুট করে পাচার করা। আ.লীগের সিন্ডিকেটের লোকজন এলসি করতে পারলেও সাধারণ ব্যবসায়ীরা এলসি করতে পারছে না। এর ফলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেটের লোকজন, আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাশুল দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। টিসিবি পণ্যের দীর্ঘ লাইন আজকের যুগের দুর্ভিক্ষ।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সম্পদ লুট ও পাচার করে সারা বিশ্বে পুঞ্জীভুত করছে তারা। প্রত্যক্ষভোটে নির্বাচিত সরকারের বিষয়ে জাতিসংঘের সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। তাই, দেশের মানুষের মতো বিশ্ববাসীও গণতন্ত্রহীনতার প্রতিবাদ করছে। অবৈধ সরকারকে বিদায় না করতে পারলে দেশের মানুষের মুক্তি আসবে না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক প্রমুখ। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।