Fishing trawlers at a safe sanctuary in Kalapara as the sea is rough due to bas weather.
পটুয়াখালী: টানা ৫৮ দিনের গভীর সমুদ্র মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে যখন উপকূলের জেলেরা রূপালী ইলিশ আহরণের ব্যস্ত সময় পার করছে, তখনই সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে হঠাৎ করে উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। ফলে জীবন রক্ষায় শত শত মাছ ধরা ট্রলার পটুয়াখালীর আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরের শিববাড়িয়া নদীসহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এতে আবারও কর্মহীন হয়ে পড়েছে উপকূলের জেলেরা।
মৎস্যজীবীরা জানান, সরকারি অবরোধের দীর্ঘ সময়কালে কোনো আয় না থাকায় অনেকেই ইতোমধ্যে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। তার ওপর মৌসুমের শুরুতেই আবহাওয়ার বিরূপ আচরণে তারা পড়েছেন আরও চরম সংকটে।
কুয়াকাটার মৎস্যজীবী মোশাররফ মাঝি বলেন, "দীর্ঘ ৫৮ দিন অপেক্ষার পর যখন মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখনই শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া। সাগর উত্তাল হওয়ায় আমরা এখন ঘাটে বসে আছি। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।"
একই অভাব-অভিযোগ আলিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে ইউসুফের। তিনি বলেন, "এভাবে যদি আবহাওয়ার প্রভাব লেগেই থাকে, তাহলে মাছ ধরতে পারবো না। আমরা কীভাবে বাঁচবো, তা ভেবেই আতঙ্কে আছি। একদিকে ঋণ, অন্যদিকে কর্মহীনতা—সব মিলিয়ে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।"
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সবধরনের মাছ ধরা কার্যক্রম স্থগিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিরাপদে ঘাটে অবস্থান করতে বলা হয়েছে ট্রলার ও জেলেদের। - গোফরান পলাশ