News update
  • United States and Bangladesh Launch Money Laundering Bench Book     |     
  • 6 BD peacekeepers killed, 8 hurt in attack on Sudan UN Base     |     
  • Burglary at Hadi’s village home in Jhalokathi      |     
  • Martyred Intellectuals Day on Sunday     |     
  • Campaign from Jan to rein in overuse of antibiotics: Adviser     |     

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সুরক্ষার আবেদন খারিজ করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-02-26, 7:30am

supream-court-c75cb94f81dfed289c126dad8ea9baa01740533434.jpg




বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা চেয়ে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। 

আদালত জানিয়েছে, এটি পররাষ্ট্র নীতির অন্তর্ভুক্ত এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। খবর এনডিটিভির।

ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ শুনানির সময় বলেন, ‘এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু এবং আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না।’ পরে আবেদনকারী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন এবং আদালত সেটি খারিজ করে দেয়।

লুধিয়ানার ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রাজেশ ধান্ডা এ আবেদনটি করেছিলেন। তিনি লুধিয়ানা ভগবান জগন্নাথ রথযাত্রা মহোৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ও ইসকন মন্দির স্টিয়ারিং বোর্ডের সহসভাপতি।

আবেদনে বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করার পাশাপাশি, ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীদের বিবেচনার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। বিশেষ করে, যারা সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়।

আবেদনটিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা যায়।

এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমইএ) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে (এমএইচএ) বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সংখ্যালঘুদের সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

আবেদনে বলা হয়, অতীতে বিভিন্ন সার্বভৌম রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) ও জাতিসংঘের (ইউএন) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় উত্থাপন করেছে। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কার্যকর কোনো আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেয়নি।

আবেদনকারীর দাবি, বাংলাদেশে হিন্দু, শিখ, জৈন এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় আক্রমণ চালানো হচ্ছে, যার ফলে তারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই বাংলাদেশ প্রশাসনের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা দরকার, যাতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন অনুযায়ী, নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালকে কাট-অফ তারিখ ধরা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা উচিত।

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে থাকা হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত। তবে, সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনের শুনানি গ্রহণ না করে একে পররাষ্ট্র বিষয়ক ইস্যু উল্লেখ করে খারিজ করে দেয়।