News update
  • Mirpur garment factory, chemical godown fire kills 9     |     
  • Garbage pile turns Companiganj Bazar into an unhygienic town     |     
  • Put 'old feuds' aside for a new era of harmony in ME: Trump     |     
  • Rivers are Bangladesh's lifeblood, Rizwana at UN Water Convention      |     
  • UN Releases $11 Million for Gaza Aid Amid Fragile Hope     |     

মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি বন্দিরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মানবাধিকার 2025-10-14, 7:02am

4trerwerew-dd2757df7ca7e23f54d25d95153d84b01760403766.jpg




গাজায় দীর্ঘ দুই বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্দিবিনিময় হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গাজায় বন্দি থাকা ২০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলও তাদের কারাগার থেকে প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে বলে জানা যায়।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে এই মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। হামাস দুই দফায় ইসরাইলি বন্দিদের আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) হাতে তুলে দেয়। মুক্তি পাওয়া ইসরাইলিরা সীমান্ত পার হয়ে নিজ দেশে পৌঁছেছেন এবং সেখানে তাদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

অন্যদিকে ইসরাইলের কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে বহনকারী বাস যখন গাজায় পৌঁছায়, তখন হাজার হাজার আত্মীয়স্বজন আনন্দাশ্রু নিয়ে তাদের বরণ করে নিতে ভিড় করেন।

এদিন মধ্যপ্রাচ্য সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলে গিয়ে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেন তিনি।

ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘আকাশ শান্ত, বন্দুক নীরব, সাইরেন থেমে গেছে এবং অবশেষে পবিত্র ভূমিতে শান্তি বিরাজ করছে।’ তিনি যোগ করেন, ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্য এটি ছিল একটি ‘দীর্ঘ দুঃস্বপ্নের’ অবসান।

নেসেটে ভাষণ শেষে বৃহত্তর আঞ্চলিক শান্তি এবং গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে মিশরীয় ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে মিশরের পর্যটন শহর  শারম আল–শেখে ‘শান্তি সম্মেলনে’ যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গাজায় যুদ্ধবিরতি টেকসই করার লক্ষ্যে বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে ট্রাম্প মিশর, কাতার ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে একটি দলিলে সই করে গাজা চুক্তিকে স্বাগত জানান এবং সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

মিশরীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, আলোচনায় গাজার প্রশাসন, নিরাপত্তা এবং পুনর্গঠন নিয়ে কথা হয়েছে। ট্রাম্প এই চুক্তির প্রশংসা করে একে ‘সেরা চুক্তিগুলোর মধ্যে সেরা’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, ‘এখন পুনর্গঠন শুরু হচ্ছে।’

সম্মেলনে ইসরাইল ও হামাসের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না, এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারাও যোগ দেননি। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেন। ইসরাইলের আপত্তি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজার ভবিষ্যতের প্রশাসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে আগ্রহী।