News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

মিয়ানমারের শরণার্থী প্রত্যাবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সংশয়ে রোহিঙ্গারা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মানবাধিকার 2023-03-23, 8:06am

01a10000-0aff-0242-8dbc-08da856e9252_w408_r1_s-e02df1836054bdd516a642bd0306bb1f1679537175.jpg

চোখে মুখে উৎকণ্ঠার ছাপ নিয়ে শরণার্থী শিবিরে একটি রোহিঙ্গা পরিবার। (ফাইল ছবি)



মিয়ানমারের সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা আগামী মাসের মধ্যেই নির্যাতিত রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু সদস্যদের তাদের দেশে স্বাগত জানাতে শুরু করবে। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বুধবার বলেছে, মিয়ানমার তাদের স্বদেশে সত্যিকারের প্রত্যাবর্তনের যে প্রস্তাব দিচ্ছে, এ বিষয়ে তাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

মিয়ানমারের জান্তার ১৭ জন কর্মকর্তার একটি প্রতিনিধি দল এই সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের দেশে ফেরত নেবার ব্যাপারে সাক্ষাৎকার নেয়াই ছিল ওই সফরের উদ্দেশ্য।

চীনের মধ্যস্থতায় এবং আংশিকভাবে জাতিসংঘের সহায়তায় সফরটি দু'দেশের মধ্যে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তির সূচনা করে। বছরের পর বছর ধরে স্থবির হয়ে পড়া এই প্রত্যাবর্ন নিয়ে অংশত এই আশংকা রয়েছে যে শরনার্থীদের তাদের প্রত্যাবর্তন নিরাপদ হবে না।

কিন্তু প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাতকার দেয়া রোহিঙ্গারা এএফপিকে বলেছেন, মিয়ানমারে তাদের নিরাপত্তা বা নাগরিকত্বের অধিকারের স্বীকৃতি সম্পর্কে তাদের কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া হয়নি।

শামসুন নাহার নামের ৪০ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা নারী এএফপিকে বলেন, "আমি মনে করি না তারা আমাদের সত্যিই মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আর যদি যায়ও, তাহলে তারা আমাদের কোনো অধিকার দেবে বলে মনে হয় না।"

প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গার আবাসস্থল বিস্তীর্ণ শরণার্থী শিবিরে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর বুধবার প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারে ফিরে গেছে।

তাদের প্রস্থানের পর, জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন এএফপিকে বলেছেন, মিয়ানমার সম্ভবত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং প্রথম ধাপে প্রায় ১,০০০ শরণার্থীকে স্বাগত জানাবে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা রবিবার আবারও বলেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের "টেকসই প্রত্যাবর্তনের" জন্য মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো অনুপযুক্ত।

অধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মিয়ানমারের কোনও আগ্রহ নেই। অন্যদিকে, জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলি বলেছে, রোহিঙ্গারা ফিরে গেলেও তারা সেখানে আর নিরাপদ থাকবে না।

বাংলাদেশের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার মিজানুর রহমান বলেছেন, তার দেশ আশাবাদী শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন শীঘ্রই শুরু হবে, আগামী সপ্তাহে সময়সূচী সম্পর্কে হয়তো আরও স্পষ্ট আভাস পাওয়া যাবে।"

রহমান এএফপিকে বলেন, "প্রত্যাবাসন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল।"

চীন নতুন করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় উভয় দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে এবং ঢাকায় বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনও গত সপ্তাহে সংবাদদাতাদের বলেছিলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া "খুব শীঘ্রই" শুরু হবে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এখন পর্যন্ত তাদের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের খবরটি জানায়নি।