Qazi Mostafa Kamal
কাজী মোস্তফা কামাল
রাখাইনে এখন দুর্ভিক্ষ চলছে , শীঘ্রই যদি ত্রান সামগ্রী না পৌছায় তাহলে কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ হানি ঘটবে। সেই অনুসারে জাতিসংঘ ত্রান পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কাছে মানবিক করিডোর চাইছে। এই করিডোর দেয়া নিয়ে আমাদের দেশের কিছু চিন্তক এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব নানান মন্তব্য করছেন ,কেউ বলছেন অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে করিডোর দেয়ার ক্ষমতা নেই , কেউ বলছেন সাম্রাজ্যবাদিদের চক্রান্ত। আমাদের প্রায় তিন দিকেই ভারত শুধু দক্ষিন পূর্ব কোনায় মায়ানমারের এক চিলতে আরাকান। এক সময় আরাকান রাজ্যটি একটি স্বায়ত্ত শাসিত দেশ ছিল ১৯৪৭ সালে এই উপমহাদেশ যখন ভাগ হয় তখন আরাকানের রাজনৈতিক নেতারা তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতাদের সাথে সাক্ষাত করে পাকিস্তনের সাথে যুক্ত হতে চেয়েছিল কিন্তু মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ তাতে সায় দেয় নি। যার ফলশ্রুতিতে আরাকান মায়ানমারের সাথেই রয়ে যায় । গত ৫৪ বছরে ভারতের এক চেটিয়া আধিপত্য বাংলাদেশের রাজনীতি ,অর্থনীতি সহ নানান দিকগুলি কিভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে তা সবার জানা। এখন যদি আরাকানের সাথে বাংলাদেশের একটি সম্পর্ক গড়ে উঠে তাহলে অন্তত শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার একটি জায়গা পাওয়া যাবে। রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বাংলাদেশের পক্ষে এককভাবে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠা প্রায় অসম্ভব , প্রয়োজন জাতিসংঘ সহ বিশ্বের মোড়লদের সহযোগিতা। ভারত এই সঙ্কটের কিছুই করতে পারবেনা বরং তারা ফায়দা লুটবে। ড মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন আগামী ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ রোহিঙ্গারা তাঁদের নিজ দেশে যাতে করতে পারে ,সেই ব্যবস্থা জাতিসংঘের মাধ্যমে করবেন। ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের আরাকানে প্রত্যাবাসন একান্ত প্রয়োজন, একটি জাতী গোষ্ঠী বিশ্বের বিবেকবান মানুষের চোখের সামনে এভাবে অবহেলিত ও নির্যাতিত হতে পারেনা। এখন জাতিসংঘকে মানবিক করিডোর দিয়ে যদি সেই কাজের কিছুটা অগ্রগতি হয় তাতে অসুবিধা কোথায়।