ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মালিকদের পরিচালনা পর্ষদে প্রবেশ, সংকুচিত করার পক্ষে মত সাবেক ব্যাংকারদের। তাদের দাবি, বাড়াতে হবে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা। তবে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধ করতে না পারলে ফিরবে না সুশাসন। এমন মন্তব্য করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর সংকট কাটাতে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে হবে।
হাসিনা আমলে ব্যাংকখাতে যে লুটপাট হয়েছে তা দিয়ে অন্তত ২৪টি পদ্মা সেতু ও ১৪টি মেট্রোরেল নির্মাণ সম্ভব ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে করা শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
সীমাহীন এসব অনিয়মের পেছনে ছিল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকের অনুমোদন ও মালিকানা নেয়া। তাই, মাত্র ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে প্রবেশের সুযোগ কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। দাবি জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র পরিচালক বাড়ানোর।
আইবিসিএফ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ব্যাংকের নিয়ম-নীতিগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। যারা শেয়ারের মালিক, বছর শেষে তারা লভ্যাংশ নেবেন। মাত্র ১-২ শতাংশ শেয়ার কিনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে প্রবেশের সুযোগ অবিলম্বে বাতিল করা দরকার।
ব্যাংকে পরিচালনা পর্ষদ সদস্য হতে পারে সর্বোচ্চ ২০ জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবেন ৩ জন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পর্ষদ সংখ্যা পরিবর্তন আনার চেয়ে আর্থিক খাতে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।
অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি বা রাজনৈতিক লেজুর ভিত্তিতে কেউ সুবিধা নেয়া বন্ধ না হলে, আইন করে কোনো লাভ হবে। তাই শক্ত সুশাসন ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে।
নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেয়ার পর এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৮টিসহ এক ডজন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন এনেছেন। দুর্বল এসব ব্যাংকের পুঁজি বাড়ানোর দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংকগুলো এত পরিমাণ ঋণ দিয়েছে, যার ফলে তাদের পুঁজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্যাংকের মালিকানা বা ব্যক্তিখাতে বন্ড দিয়ে পুঁজি না বাড়ালে ব্যাংকগুলোর ঘুরে দাঁড়ানো কষ্টকর।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন আবারও সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সময়