News update
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     
  • Sustainable, rights-based solutions to Rohingya crisis urged     |     

কক্সবাজারে মায়ের ভাষায় কবিতা পড়লেন বিদেশিরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-02-21, 4:06pm

coxsbazar-e1bf05cab002f103ee1680b0cea50f731740132418.jpg




মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারার আনন্দই অন্যরকম। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সেই আনন্দটা ছুঁয়ে গেছে বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশিদের হৃদয়েও। তাদের নিয়ে ভিন্নধর্মী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কসউবি) প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ। অনুষ্ঠানে ভিন দেশের নাগরিকেরা নিজ-নিজ ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করেন। মায়ের ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করতে পেরে তারা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। পরে সেগুলো ইংরেজিতে ‍বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘সার্ধশততে একুশের দ্রোহ’ শিরোনামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাপান, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, কাজাখিস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা অংশ নেয়। তারা কক্সবাজারে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

জাপানি নাগরিক মাছিকো ফুকোমারা বলেন, ‘নিজের ভাষায় কথা বলতে পারাটা অনেক আনন্দের। স্কুল দেখে আমার নিজের দেশ, বাড়ি, শৈশব ও নিজের ভাষাকে খুব মনে পড়ছে।’ এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের কথা জানান জাপানি এ নাগরিক।

নাইজেরিয়ান নাগরিক হাওয়া হাসান এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এখানে আমরা অনেক ভাষাভাষী মানুষ একসঙ্গে হয়েছি, এটা খুব ভালো লাগছে।’

ফিলিপাইনের নাগরিক হেলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই আছেন বাংলাদেশে। তিনি বলেন, ‘কথা বলতে পারার স্বাধীনতা অনেক বড় বিষয়। অনেক আনন্দের।’

ইসাবেল সুয়োরাজ কলম্বিয়ান নাগরিক। এই আয়োজনে এসে তিনি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘স্কুলের বাচ্চাদের দেখে আমার স্কুল সময়কে মনে পড়ছে।’

কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক এম এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের গৌরবময় ১৫০ বছরপূর্তির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন মাতৃভাষার বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে এবং বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে বিশ্বজনীন পরিসরে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই এমন আয়োজন।

এ ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের অবদান গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে খালেদ মোশাররফ, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে কক্সবাজার হাইস্কুলের ছাত্ররা ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন।

কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সংগঠক শেখ আশিকুজ্জামান বলেন, ভৌগোলিকসহ নানা কারণে কক্সবাজার এখন আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হাজারের অধিক বিদেশি নাগরিক কাজ করেন। যা দেশের অন্যকোনো জেলায় নেই। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে এ শহরের আন্তর্জাতিক গুরুত্বকেও জানান দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী নানান আয়োজনের অংশ হিসেবে ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের কথা জানিয়ে ছাত্র পরিষদের সংগঠক ইয়াসির আরাফাত জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসেই তাদের কর্মসূচি থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। এনটিভি।