
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে তরুণ সমাজ ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যেখানে অনেকে দীর্ঘমেয়াদে এই পদক্ষেপের সুফল দেখছেন, সেখানে এটিকে বর্তমান প্রজন্মের জন্য বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন অনেকে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে দেশটিতে এই আইন কার্যকর হয়। খবর বিবিসির।
এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন নিয়মিত স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক ব্যবহারকারী একজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যবহারকারী বলেন, আমি সম্ভবত একটু বেশিই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করি। এখন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং এটি বড় হওয়ার একটি অংশ। বাচ্চারা খুব অল্প বয়সে সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট পাচ্ছে। আমি জানি এত অল্প বয়সে তাদের এর সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। কিন্তু সর্বনিম্ন বয়স ১৬ করে দেওয়াটা পাগলামি।
এই ব্যবহারকারী মনে করেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের সর্বনিম্ন বয়স একই হওয়া উচিত নয়। তার মতে, সর্বনিম্ন বয়স ১৬ না করে ১৪ বছর করা উচিত। তিনি বলেন, আমি মনে করি বেশিরভাগ তরুণদের মস্তিষ্ক ততদিনে নিরাপদে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করার জন্য যথেষ্ট বিকশিত হবে।
যদিও এই ব্যবহারকারী মনে করেন দীর্ঘমেয়াদে এই সিদ্ধান্ত তরুণ প্রজন্মের উপকারে আসবে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সিদ্ধান্তটি তরুণ প্রজন্মের উপকারে আসবে। যদিও এখন তা মনে হচ্ছে না। সব মিলিয়ে, যদিও এই নিষেধাজ্ঞা বিরক্তিকর মনে হতে পারে, দীর্ঘমেয়াদে এটি অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের শৈশবের অনেক কিছুকে বদলে দেবে।
অন্যদিকে এই নিষেধাজ্ঞা তরুণ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
১৪ বছর বয়সী কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জোয়ে বলেন, তার ক্যারিয়ার গড়ার পথ হিসেবে তিনি সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
জোয়ের বাবা মার্ক তার মেয়ের সঙ্গে একমত। তিনি মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিশোর-কিশোরীদের জন্য ‘নিজেদের ব্র্যান্ড প্রচার করার’ সেরা উপায়। তিনি আরও যোগ করেন, ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বাধ্য করলে, ‘তাদের অনেক সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’