News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

এআই ইনোভেশন ইন এশিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে ও চায়না মোবাইল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-06-25, 7:08pm

img_20250625_190713-67de5f54967221ec10161e1bc3c287f61750856910.jpg




নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি খাতের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর কোর নেটওয়ার্ক সল্যুশনের জন্য জিএসএমএ-এর বেস্ট এআই ইনোভেশন ইন এশিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে হুয়াওয়ে ও চায়না মোবাইল। কোর নেটওয়ার্ক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক প্রয়োগের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ও চায়না মোবাইলের অবদান হিসেবে পুরস্কারটি দেয়া হয়। মোবাইল এআইয়ের যুগে হুয়াওয়ের অগ্রণী ভূমিকাও এই স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।

বুধবার হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয় ।ফাইভজি-এ (অ্যাডভান্সড) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি একত্রে প্রয়োগের ফলে মোবাইল এআই যুগের সূচনা হয়েছে, যা ব্যক্তি, আবাসস্থল ও শিল্পখাতের মধ্যে আরও বেশি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে। ব্যক্তিক, পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও সামগ্রিক এআইভিত্তিক ব্যবহারে ক্ষেত্রে এআইভিত্তিক কোর নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। 

হুয়াওয়ে এবং চায়না মোবাইল কোর নেটওয়ার্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে যাতে ইন্টেলিজেন্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায়। এআই কোর নেটওয়ার্ক দুইটি ধাপে তৈরি করা হয়। প্রথম ধাপে এআই এজেন্টসহ একটি ফাইভজি-এ ইন্টেলিজেন্ট কোর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয় যা নেটওয়ার্কের বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিয়ে সেবা. পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে। এই ধাপের  আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কম্পিউটিং ও নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করা। এটি ব্যবহারকারীর ডিভাইসে কম্পিউটিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে। দ্বিতীয় ধাপে কোর নেটওয়ার্ককে পুরোপুরি এআই-নেটিভ হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়, যার ফলে এটি এজেন্টিক কোরে রূপান্তরিত হয়। এই এজেন্টিক কোর স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপাদন, পরিবর্তন এবং রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম। এটি প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারকারীর চাহিদা পূরণ করতে পারে। 

চীনে বিস্তৃত পরিসরে নিউ কলিং সেবা বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভিজ্যুয়ালাইজড ভয়েস কলিং, ফান কলিং এবং রিয়েল-টাইম অনুবাদ-এর মতো উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করা হচ্ছে। নেটওয়ার্ক ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে ইন্টেলিজেন্ট পারসোনালাইজড এক্সপেরিয়েন্স (আইপিই) সল্যুশন চীনের একাধিক প্রদেশে বাণিজ্যিকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। সেবা, ব্যবহারকারী এবং নেটওয়ার্ক– এই তিনটি ক্ষেত্রে আইপিই সচেতনতা তৈরি করে।   এটি অপারেটরদেরকে ট্র্যাফিকনির্ভর মডেল থেকে অভিজ্ঞতাভিত্তিক রেভিনিউ মডেলে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করছে। অপারেটরদের কার্যক্রমে এখন ওঅ্যান্ডএম (পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) ইন্টেলিজেন্স যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে ওঅ্যান্ডএম মডেল পুনর্গঠনের পাশাপাশি পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও গ্রাহক অভিজ্ঞতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। একই সঙ্গে হুয়াওয়ের সহযোগিতায় চায়না মোবাইল হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি লো-কার্বন কোর নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে, যার লক্ষ্য হলো ইটুই (এন্ড টু এন্ড) সিস্টেমের প্রতিটি ধাপে শক্তির কার্যকর ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা।

হুয়াওয়ে ক্লাউড কোর নেটওয়ার্ক প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট জর্জ গাও বলেন, “কোর নেটওয়ার্কে এআই একীভূতকরণ মোবাইল এআই যুগের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এর পাশাপাশি এআই কোর নেটওয়ার্ক হবে উদ্ভাবনী সেবার জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভিত্তি, যা ‘ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটি অব থিংস’ থেকে ‘ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটি অব এআই এজেন্টের’ রূপান্তরে ভূমিকা রাখবে। চায়না মোবাইল ও শিল্পখাতের অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে নতুন সেবা উদ্ভাবন ও শিল্পখাতকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি আরও বেশি ব্যবসায়িক উপযোগিতা সৃষ্টি করবে হুয়াওয়ে।”   

২০২৫ সালে ৫জি-অ্যাডভান্সড প্রযুক্তির বাণিজ্যিক প্রয়োগ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক মোবাইল অপারেটর, সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ ও নেতৃত্বের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক উদ্ভাবন ব্যবহার করে টেলিকম সেবা, অবকাঠামো ও পরিচালনা পদ্ধতিকে নতুনভাবে গড়ে তোলা যায়। এর মাধ্যমে নতুন আয়ের উৎস তৈরি হওয়ার পাশাপাশি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্বের দিকে যাত্রা ত্বরান্বিত হবে।