News update
  • Call for benefit sharing from Mpox and COVID-19 pathogens     |     
  • Mutual respect, amity to guide working together: Yunus to Modi     |     
  • Tanzania's Devastating Crash Kills at Least 28     |     
  • Tannery Owners Target 10m Hides Amid Eid Processing Rush     |     
  • Saudi Halts Work, Umrah Visas for 14 Nations Including BD     |     

স্মার্টফোন-মোবাইল ডেটার ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-06-09, 6:47am

img_20250609_063947-4e4e412ec25c3cd949edfb9671517fc11749430061.jpg




স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটাসহ সাইবার জগতের অনেক কিছু ব্যবহারে প্রতিবেশী ও সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশগুলো থেকে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

মোবাইল অপারেটরদের সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিমাসে গড়ে ৭ দশমিক ২৬ জিবি (গিগাবাইট) ডেটা ব্যবহার করেন গ্রাহকেরা। তবে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের গ্রাহকেরা ২৭ দশমিক ৫ জিবি, পাকিস্তানে ৮ দশমিক ৩৫ জিবি, শ্রীলঙ্কায় ১১ দশমিক ৬ জিবি, মালয়েশিয়ায় ২১ দশমিক ৬ জিবি, থাইল্যান্ডে ৩০ দশমিক ৩ জিবি এবং ভিয়েতনামে ৯ দশমিক ২ জিবি ব্যবহার করেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট গ্রাহক। যার মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ১১ কোটি ৬৫ লাখের বেশি। এ ছাড়া, দেশে ফোরজি নেটওয়ার্কের বিস্তার প্রায় শতভাগ। অর্থাৎ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো রয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে- সব জায়গায় ভালো নেটওয়ার্ক এখনও পাওয়া  যায় না। 

এ ছাড়া,  ডেটার ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন আর ইন্টারনেটের সংযোগের জন্য স্মার্টফোন প্রয়োজন। কিন্তু এই দুই সংযোগই বাংলাদেশে তুলনামূলক কম। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চলতি এপ্রিলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর শেষে দেশের ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবার সরাসরি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল। 

তবে বিশ্বব্যাংকের ‘ডিজিটাল অগ্রগতি ও প্রবণতা প্রতিবেদন ২০২৩’–এ বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৯ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ব্যবহারও কম। বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশের ৭২ শতাংশ পরিবারে স্মার্টফোন রয়েছে। পরিবার পর্যায়ে স্মার্টফোনের ব্যবহারে অগ্রগতি থাকলেও ব্যক্তি পর্যায়ে কম। তবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সংখ্যা ৫২ শতাংশ।

এ ছাড়া, ব্রডব্যান্ড কমিশনের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, মুঠোফোন থাকা সত্ত্বেও ডিজিটাল জ্ঞান ও দক্ষতার অভাবে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। দেশের ২৬ শতাংশ মানুষ মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনই মনে করেন না। আর ৬ শতাংশ মানুষ নিরাপত্তার কারণে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। 

অন্যদিকে জিএসএমএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ শতাংশ পুরুষ ও ৬ শতাংশ নারী বলেছেন, ইন্টারনেট তাদের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়।

তবে, নিম্নআয়ের কারণে স্মার্টফোন, ডেটা প্যাকেজের মোট খরচ অনেক ব্যবহারকারীর জন্য এখনও বেশি। অর্থাৎ খরচজনিত সীমাবদ্ধতা ও ডিজিটাল সক্ষমতার অভাবে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটাসহ সাইবার জগতের অনেক কিছু ব্যবহারে প্রতিবেশী ও সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশগুলো থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশ।আরটিভি