News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

এপ্রিলে ইন্টারনেটে ছড়াল ২৯৬ ভুল তথ্য

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-05-02, 1:33pm

77b1b15445dd175187fc6779a404b680a50ea3a6b4dd684f-61a9dc371c71fa8cd5567e14bc172d661746171203.jpg




বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার গত এপ্রিল মাসে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে। এর মদ্যে জাতীয় বিষয়ে ১০১টি, রাজনৈতিক বিষয়ে ৯৫টি, আন্তর্জাতিক ৩৮টি, ধর্মীয় ২৭টি, প্রতারণা ১০টি, খেলাধুলা ৯টি, শিক্ষা ৭টি, এবং বিনোদন ও সাহিত্য বিষয়ক ৮টি অপতথ্য শনাক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমার স্ক্যানার।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যম বিচারে দেখা যায়, ১৩৮টি ছিল শুধুই তথ্যকেন্দ্রিক, ভিডিও ভিত্তিক ছিল ১০৫টি এবং ছবিভিত্তিক ছিল ৫৩টি। সব ভুল তথ্যের মধ্যে ১৮০টি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা, ৬৬টি বিভ্রান্তিকর এবং ৪৮টি বিকৃত তথ্য। দুটি ঘটনাকে কৌতুক হিসেবে প্রচার করা হলেও তা বাস্তব দাবির আকারে ফ্যাক্টচেকের আওতায় আনা হয়।

রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে ফেসবুকে মোট ২৭৬টি। ইউটিউবে ৫৪টি, ইনস্টাগ্রামে ৪৮টি, এক্স (সাবেক টুইটার) ৪৪টি, টিকটকে ২৪টি এবং থ্রেডসে অন্তত ১৩টি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে অন্তত ১৪টি ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

গত কয়েক মাসের মতো এপ্রিলেও ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে অপপ্রচারের হার ছিল উল্লেখযোগ্য। গত মাসে অন্তত চারটি ঘটনার উৎস ছিল ভারত থেকে, যার মধ্যে ছয়টি ছিল সাম্প্রদায়িক অপতথ্য, যা ছড়ানো হয়েছে ভারতীয় পরিচয়ধারী অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। ২৯টি ভুল তথ্যের মধ্যে ৮৩ শতাংশই ছিল নেতিবাচক। সরকারের অন্য উপদেষ্টাদের নামেও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

এদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে বিএনপিকে ঘিরে। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল এবং দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে ঘিরেও একাধিক অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধেও ছয়টি, ছাত্রশিবিরকে নিয়ে ছয়টি অপতথ্য ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগকে নিয়ে ছয়টি তথ্য ফ্যাক্টচেকের আওতায় এলেও সেগুলোর ৭৫ শতাংশই ইতিবাচক ছিল।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধেও যথাক্রমে ১৬টি ও ৯টি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। কোটা আন্দোলন এবং ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সম্পর্কেও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে।

গাজা, কাশ্মীর ও সুন্নী মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ছড়ানো অন্তত ৫৪টি অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এপ্রিল মাসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ১৯টি ভুয়া কনটেন্ট এবং তিনটি ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া দেশি-বিদেশি ২৫টি গণমাধ্যমের নাম, লোগো ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে অন্তত ৬২টি ভুয়া তথ্য প্রচার হয়েছে। যমুনা টিভির নাম ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১২টি অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে। সময়।