News update
  • Public awareness campaign before fuel loading at Rooppur NPP     |     
  • Chief Adviser Dr Yunus pays homage to martyred intellectuals     |     
  • Martyred Intellectuals Day: A Nation’s Loss and Resolve     |     
  • EC seeks enhanced security for CEC, ECs, election officials     |     
  • Humanoid robots take center stage at Silicon Valley summit, but skepticism remains     |     

যেভাবে দুর্লভ কম্পিউটার-ইন্টারনেট যুগে অভ্র বানালেন ৪ তরুণ

ভাষার প্রেমে স্বেচ্ছাশ্রম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-04-28, 6:51am

rtr3453-8f7b0d1b120abd4804507d766c41a7721745801488.jpg




২০০৩ সালে মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান প্রথম যে কি-বোর্ড জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেন! তার নামছিল ইউনি বিজয়। কীভাবে ইউনি বিজয় থেকে অভ্র রূপ নিয়েছিল সেই রূপান্তরের কথা আরটিভিকে তুলে ধরেন অভ্র টিমের ডেভেলপার শাবাব মোস্তফা ও তানবিন ইসলাম সিয়াম।

শাবাব মস্তফা জানান, প্রথমে এই কীবোর্ডের নাম ছিল ইউনি বিজয় পরবর্তীতে আরো কিছু নাম দেওয়া হয়। প্রথম দুটি রিলিজের পরে অভ্রর উদ্ভাবক মেহেদি হাসান নামটি পরিবর্তনের কথা ভাবেন পরে ডিকশনারি থেকে অভ্র শব্দটি পছন্দ করেন। অভ্র শব্দের অর্থ ‘আকাশ’ যেটি মুক্ত জায়গা। আর এই সফটওয়্যারটি ও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। তাই নামটি সকলের বেশ পছন্দ হয়। তারপর থেকেই ইউনি বিজয় রূপান্তর হয় অভ্রে।

কোটি টাকা আয়ের সুযোগ থাকলেও এই তরুণেরা বিনামূল্যেই বিতরণ করেছে এই সফটওয়্যার। দীর্ঘ ২২ বছর এই সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ ও ত্রুটি সংস্কার এবং সংরক্ষণ করে আসছেন এমনই প্রচার বিমুখ কিছু নিঃস্বার্থ মানুষ।

এ প্রসঙ্গে শাবাব মোস্তফা ও তানবিন ইসলাম সিয়াম আরটিভিকে জানান, অভ্র নিয়ে কখনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ ছিলো না আমাদের।

এ বছর দেশের দ্বিতীয় বেসামরিক পদক একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন অভ্র কিবোর্ড প্রতিষ্ঠাতা বা আবিষ্কারক মেহদী হাসান। এ বিষয়য়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে, একা এই পদক নিতে চান না জানান তিনি।

পরে মেহদিসহ তার আরও তিন সহকর্মী যারা অভ্র ডেভেলপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরসহ চার জনকেই দলগতভাবে এই সম্মাননা দেওর কথা জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা।

আরটিভির সাথে এক সাক্ষাৎকারে, শাবাব মোস্তফা এবং তানবিন সিয়াম জানান, অভ্র উন্মুক্ত হওয়ার পর তাঁরা কীভাবে এই টিমের সাথে যুক্ত হলেন।

শাবাব মস্তফা বলেন, যখন এই সফটওয়্যারটি প্রতিষ্ঠা হয় এবং কিছু মানুষ ব্যবহার করতে শুরু করে তখন বিভিন্ন ত্রুটি সমাধানের জন্য এই দলে যোগ দেন শাবাব ও সিয়াম, তারা সকলেই তখন শিক্ষার্থী।

অভ্র একটি ফ্রি সফটওয়্যার। অর্থাৎ এটাকে বিনামূল্যে ইচ্ছামতো ব্যবহার ও বিতরণ করা যায়। এই কি-বোর্ডে কাজ করা এতই সহজ যে বাচ্চারাও ঘণ্টাখানেক মোবাইলে চেষ্টা করলে এটা শিখতে পারে। ফোনেটিক এই কি-বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম মেহদী হাসান খান একজন চিকিৎসক ও প্রোগ্রামার। 

মেহেদি হাসান সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানান ২০০৩ সালে যখন তিনি অভ্রর কাজ শুরু করেন, তখন অভ্র বা তাকে কেউই চিনতো না। এরপর একটা ফোরাম বানালেন মানুষের টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান দেওর জন্য। ইউনিকোডের ব্যবহার তখনো নতুন, তাই সমস্যাও হাজারটা ছিল।

ধীরে ধীরে এই অনলাইন ফোরামে মানুষ সমস্যা নিয়ে আসতে শুরু করলে তা সমাধান করার চেষ্টা করতেন মেহেদি ও তার ডেভেলপার দল। সেই দলেরই দুই কর্মী শাবাব ও সিয়াম।

এভাবেই যাত্রা হয় অভ্রর। দীর্ঘ এই যাত্রায় নানা প্রতিকূলতা কাটিয়েও জনপ্রিয়তার শীর্ষে এই বাংলা ফোনেটিক কিবোর্ড সফটওয়্যার।আরটিভি