গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর সামষ্টিক অর্থনীতিতে বাড়ছে স্থিতিশীলতা। নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে নেয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে আমদানি ব্যয়। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ডলারের মজুত বৃদ্ধিতে আমদানি ব্যয় বাড়ানো গেছে। এতে অর্থনীতিতেও চাঞ্চল্য ফিরছে বলে মত ব্যবসায়ীদের।
রিজার্ভের পতন ঠেকাতে ডলার ব্যয় কমানোর জন্য, আমদানির গলা চেপে ধরেছিল বিগত সরকার। নিত্যপণ্য ও জ্বালানি ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করা হয় অন্যান্য পণ্য আমদানি। তবে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর, বাড়ছে রেমিট্যান্স ও রফতানি। কমছে অর্থ পাচার। এতে রিজার্ভ তথা ডলারের মজুত বাড়ায় প্রত্যাহার হয়েছে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। বাড়ছে আমদানি ব্যয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যয় ছিল ৭ হাজার ১১৪ কোটি ডলার। বছর ব্যবধানে যা প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, ঋণপত্র খুলতে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৭ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, অর্থ পাচার বহুলাংশে কমে যাওয়ায় এবং রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়তে থাকায় বাজারে বেড়েছে ডলারের প্রবাহ। রিজার্ভে হাত না দিয়েই আমদানি ব্যয়সহ নিয়মিত দেনা শোধ করা হচ্ছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলার প্রবণতা বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, ১৪টি বিলাসী পণ্য ছাড়া বর্তমানে আমদানি নিয়ন্ত্রণ নেই। কমানো হয়েছে খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাংকে নগদ জমার অন্তর্বর্তী পরিমাণও।
এই নীতিকে সমর্থন করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বাড়লে অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য বাড়ে। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে এহসান শামীম বলেন, আমরা আমদানি নির্ভর দেশ। ব্যবসার টার্নআউটে আমদানি বাড়লে উপকারই হয়। রফতানি বাড়লে কোনো না কোনোভাবে আমদানি বেড়ে যাবে। আমদানি বাড়লে লোকাল অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। রফতানির গ্রোথের সঙ্গে আমদানির গ্রোথ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সামষ্টিক অর্থনীতির সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ২ হাজার কোটি ডলার হয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় আমদানি ব্যয় বাড়লেও স্থিতিশীল আছে মুদ্রা বিনিময় হার। সময়