News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

প্লাস্টিক দূষণ রোধে কঠোর হচ্ছে সরকার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বর্জ্য 2025-05-04, 12:40pm

ertwerew-a22289dfe893f71d396c752f4db3569e1746340856.jpg




প্লাস্টিকের ব্যবহারের সঙ্গে উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে পরিবশে দূষণও। তাই প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ অথবা একই জিনিসি বারবার ব্যবহারের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্লাস্টিক দূষণ রোধে নীতিমালা কঠোর করতে যাচ্ছে সরকারও।

শুধু খাবারের প্যাকেট বা পানির বোতলই নয়, বর্তমানে আধুনিক জীবনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্লাস্টিকের একবার ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী। দিন দিন এই ধরনের পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার বাড়লেও রিসাইকেল বা রিইউজের পরিমাণ বাড়ছে না সেই তুলনায়। ফলে এসব প্লাস্টিক ক্ষতি করছে পরিবেশের। শুধু পরিবেশ দূষণই নয়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, মানবস্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যও দায়ী করা হচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার ও এর অব্যবস্থাপনাকে।

সরকারি তথ্য বলছে, দেশে বছরে প্রায় সাড়ে আট লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যার ৪০ শতাংশ পুনঃব্যবহার হলেও বাকিটা মিশছে পরিবেশে। আর বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ সালে দেশের নগরাঞ্চলে বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ তিন কেজি হলেও দুই দশকের ব্যবধানে তা বেড়েছে তিনগুণ।

রাজধানী ঢাকায় সেই চিত্র ভয়াবহ, কেন না এখানে বর্তমানে মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ২৪ কেজি। এছাড়া নিষিদ্ধ করা হলেও কার্যকর প্রয়োগের অভাব এবং সহজলভ্য হওয়ায় পলিথিন ব্যবহার করছে দেশের প্রায় ৬১ ভাগ মানুষ।

সমাজবিজ্ঞানী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। প্রতিদিন প্লাস্টি ওয়েস্ট বাড়ছে। ঢাকায় মোট আবর্জনার মধ্যে ২০ শতাংশ প্লাস্টিক। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক। এটা কোনো সভ্য দেশে হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জনগণ ও কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত না করলে, যতই অর্থ ঢালুক না কেন কোনো ফল পাওয়া যাবে না। যে জিনিসটা আমি বারবার ব্যবহার করতে পারবো না, যে জিনিস ক্ষতির কারণ হবে সেগুলো বর্জন করতে হবে।’    

প্রাণিবিজ্ঞানী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র একটা আইন করে প্লাস্টিক বন্ধের চেষ্টা সফল হয় না। সেইসঙ্গে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন আরও বাড়ানো উচিত। প্লাস্টিকের বিকল্পকে আরও বেশি তুলে ধরতে হবে।

পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, প্লাস্টিক দূষণ রোধে নীতিমালা কঠোর হচ্ছে। একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় থাকছে কড়া নির্দেশনা।

পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা।