
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ফাইল ছবি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, একটি শিক্ষিত, দক্ষ ও সুশৃঙ্খল জাতি গড়তে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তকের কোনো বিকল্প নেই। পাঠ্যপুস্তক শুধু বাহ্যিকভাবে সুন্দর হলেই হবে না, শিশুদের বয়স অনুযায়ী বিষয়বস্তু ও তার সঠিক উপস্থাপনাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ‘২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের সফটকপি ওয়েবসাইটে আপলোডকরণ’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণশিক্ষা উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সরকার ৩০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছেপে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে, যা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। একই সঙ্গে এই বইগুলো অনলাইনেও উন্মুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থাকা বাংলাদেশের শিশুরা সহজেই এগুলো ব্যবহার করতে পারে।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় আরও বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে মুদ্রিত বই পৌঁছে দেওয়া সময়সাপেক্ষ কিংবা প্রায় অসম্ভব, তাই অনলাইন সংস্করণ আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বড় পরিসরে কাজ করতে গেলে মুদ্রণ, বাঁধাই বা বিতরণে কিছু ত্রুটি হতে পারে এবং সেগুলো গণমাধ্যমে উঠে আসাও স্বাভাবিক। কিন্তু যেসব বিষয় তুলনামূলকভাবে কম আলোচিত, সেগুলোর দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা জানান, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু শিশুদের নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী কতটা উপযোগী ও তা কীভাবে পরিবেশিত হচ্ছে, সেদিকে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, এনসিটিবি-র মূল দায়িত্ব হলো বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ। কিন্তু বর্তমানে তাদের শক্তি ও সময়ের বড় একটি অংশ মুদ্রণ ও বিতরণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাগত কাজে ব্যয় হচ্ছে। এনসিটিবি-র কাজগুলোকে সুচারুভাবে ভাগ করে বিষয়বস্তুর মান উন্নয়নে আরও বেশি সময়, শ্রম ও মনোযোগ দিতে হবে। তবেই পাঠ্যবই প্রকৃত অর্থে শিশুদের জন্য কার্যকর হয়ে উঠবে।