
আর্সেনালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে চলতি মৌসুমে কোনো ম্যাচ হারেনি বায়ার্ন। ছন্দেও ছিল জার্মান ক্লাবটি। তবে গানারদের ঘরের মাঠে এক প্রকার উড়ে গেল কম্পানির দল। এদিকে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১০ জনের পিএসজির কাছে হেরেছে টটেনহ্যাম।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রথম হাফে দুই দলই সমানে সমান লড়াই করেছে। তবে বিরতির পর বায়ার্নকে আর পাত্তাই দেয়নি আর্তেতার দল। ম্যাচের ২২তম মিনিটে গানারদের এগিয়ে দেন টিম্বার। বুকায়ো সাকার কর্নারে লাফিয়ে হেডে জালে বল পাঠান এই ডাচ ডিফেন্ডার।
জবাব দিতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি বায়ার্নের। ৩২তম মিনিটে চমৎকার দলীয় নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে তারা। মাঝমাঠ থেকে কিমিচের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোল করেন কার্ল। বিরতির পর শুধু স্বাগতিকরাই খেলে গেছে।
৬৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় আর্সেনাল। বাঁ-দিক থেকে বক্সে কালাফিওরির পাস দারুণ ফিনিশিংয়ে জালে পাঠান মাদুয়েকে। আর ৭৭তম মিনিটে নয়ারের ভুলে বায়ার্নকে তৃতীয় গোলের তেতো স্বাদ দেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি।
৫ ম্যাচের সবকটিতে জিতে টেবিলের শীর্ষে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বায়ার্ন।
পিএসজি ৫-৩ টটেনহ্যাম
এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে এগিয়ে থাকার পরও শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে টটেনহ্যাম। ৮ গোলের এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনহা।
টটেনহ্যামের বিপক্ষে ভিতিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ঘুরে দাঁড়িয়ে পিএসজির জয়
হ্যাটট্রিক করেন ভিতিনহা।
পিএসজির হয়ে বাকি দুইটি গোল আসে পাচো ও রুইজের পা থেকে। এদিকে ম্যাচের ৫০ মিনিটে পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল টটেনহ্যাম। লন্ডনের ক্লাবটির হয়ে প্রথম দুইটি গোল করেন কোলো মুয়ানি এবং রিচার্লিসন। এরপর তিন গোল হজম করে তারা। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে মুয়ানি গোল করলে লড়াই জমে ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্পারসরা। ম্যাচের যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখেন পিএসজির লুকাস হার্নান্দেজ।
৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে বায়ার্ন থেকে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দুই নম্বরে অবস্থান করছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে টটেনহ্যাম।