
মালয়েশিয়ায় শিল্পখাতের চাহিদা মেটাতে স্থানীয়রা আগ্রহী নয় এমন ‘নোংরা, বিপজ্জনক ও কঠিন’ প্রকৃতির কাজে কর্মীশূন্যতা পূরণের জন্য বৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিচ্ছে মালয়েশিয়া। আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
এর মূল লক্ষ্য হলো সকল বিদেশি কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত করা এবং কর্মী নিয়োগে একটি নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল প্রবাহ নিশ্চিত করা।
মালয়েশিয়ার সরকার সাতটি প্রধান খাত এবং একটি বিশেষ বিভাগে বিদেশী কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। খাতগুলো হলো- নির্মাণ, পরিষেবা, কৃষি, বৃক্ষরোপণ, উৎপাদন, খনন ও কোয়ারিং, নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষ বিভাগে বিদেশি গৃহকর্মী নিয়োগ।
মালয়েশিয়া মোট ১৫টি উৎস দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলো হলো: বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, লাওস, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, তুর্কমেনিস্তান, ফিলিপাইন, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম।
তবে বিদেশি গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে উৎস দেশের তালিকা কিছুটা ভিন্ন। শুধুমাত্র কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, নেপাল, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম, এই ৯টি দেশ থেকে গৃহকর্মী আনা হবে।
অভিবাসন বিভাগ বিশেষভাবে বৈধ ও সুশৃঙ্খল উপায়ে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের যেকোনো ধরনের নির্যাতন বা অন্যায্য আচরণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা, নিয়োগকর্তা ও কর্মী উভয় পক্ষের অধিকার ও দায়িত্ব সুরক্ষিত করার জন্য একটি স্পষ্ট আইনি কাঠামো তৈরি, দেশটিতে প্রবেশ করা কর্মীরা যেন বৈধ হয় এবং দেশের অভিবাসন ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলে তা নিশ্চিত করা।
এই তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং নিয়ন্ত্রণাধীন করার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করল।