
আগামী তিন বছরে পাঁচ লাখ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে ইতালি সরকার। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলেও আবাসন সনদের জটিলতায় আবেদন করতে পারছেন না বহু বাংলাদেশি। ফলে বাংলাদেশ থেকে আসা শ্রমিকের সংখ্যা এইবার কমে আসতে পারে।
চলমান স্পন্সর ও নন-সিজনাল ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশিরা পিছিয়ে পড়ছেন আবাসন সনদের অভাবে। স্থানীয় পৌরসভা থেকে আবাসনের প্রমাণ হিসেবে বাধ্যতামূলক ‘আলেজ্জ’ সনদ নেয়ার নিয়ম রয়েছে। সরকারের নতুন নির্দেশনায় স্পন্সর বা নন-সিজনাল ভিসার জন্য আবাসনের ন্যূনতম স্কয়ারফিট মানদণ্ডে কঠোরতা আনা হয়েছে।
এবার একজনের জন্য কমপক্ষে ১৪ বর্গমিটার জায়গায় থাকা আবশ্যক, যেখানে বাথরুম, বারান্দা বা বেলকনি হিসাবের বাইরে রাখা হয়েছে। ফলে আবেদন প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এই কঠোরতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু দালাল বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করছেন। অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি এটি শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, অনেক বাংলাদেশিই স্থানীয়দের কাছ থেকে সহজে বাসা ভাড়া পাচ্ছেন না। প্রবাসীরা মনে করছেন, স্বয়ংক্রিয় যাচাই প্রক্রিয়ার কারণে অনেকেই হয়রানির শিকার হতে পারেন।
চলমান স্পন্সর ভিসার চূড়ান্ত আবেদন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ক্লিক ডে’তে শুরু হবে। তবে আগাম ফরম পূরণের কার্যক্রম এরমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। যা চলবে ৭ ডিসেম্বর চলবে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন আবাসন মানদণ্ডের জটিলতার কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কম হতে পারে।