রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রবাসী নেতাকর্মীদের নিয়ে ‘নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। গেল রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায়, মালদ্বীপসহ বিশ্বের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
বহির্বিশ্ব বিএনপি’র সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন ইসমাঈল জাবিউল্লা, ড. মাহাদী আমিন।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্যর শুরুতে তারেক রহমান বলেন, ‘৩১ দফার পূর্বে ভিশন ২০/৩০, যা ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া উপস্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সবকিছু বিবেচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২৭ দফা উপস্থাপন করে। তার প্রায় দেড় থেকে দুই বছর আগে ৩১ দফা উপস্থাপন করে জাতির সামনে। বিএনপি বিগত ৪০ বছরে যে আদর্শ তৈরি করেছে, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই আদর্শকে বিশ্বাস করে। এই দলের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়েই বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। অনেকে গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, বহু নেতাকর্মী নির্যাতন আর অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই জাতি, এই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে ক্ষেত্র বিশেষে সংস্কারের প্রয়োজন আছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিএনপি যখন হাজার হাজার গায়েবি মামলায় জর্জরিত এবং লাখ লাখ নেতাকর্মী জেলে বন্দি, ঠিক তখনই শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সংস্কারের প্রস্তাব করেছিল বিএনপি। ঠিক তখনই বিএনপি সংস্কারের কথা বলেছিল, যখন দলটি রাজপথে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, আন্দোলন করেছে এবং দেশ গঠনের চিন্তা করেছে।’
বিএনপি সবসময় জনগণের সাথে সম্পর্কিত উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি সবসময় চেষ্টা করে জনগণের সাথে থাকতে, জনগণকে সাথে রাখতে। দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে এবং প্রবাসের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।’
৩১ দফাই বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত বলে জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সময়