
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানী লিমিটেডের অধীনে হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত আরও ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এর ফলে কূপটি থেকে মোট ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড এবং বাপেক্সের অন্য কর্মকর্তারা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপটি ১৯৮৮ সালে খনন করা হয়। ওই সময় থেকে কূপটি থেকে দৈনিক ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছিল। পরে চাপ কমে আসায় উৎপাদনও হ্রাস পায়। এরপর ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিতাস, হবিগঞ্জ ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের সাতটি কূপে ওয়ার্কওভার করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড। এর অংশ হিসেবে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপে গত ২৪ নভেম্বর থেকে বাপেক্স ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে এবং ২৭ নভেম্বর কাজ শেষ হয়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের মোট ১১টি কূপের মধ্যে বর্তমানে সাতটি চালু রয়েছে। এসব কূপ থেকে প্রতিদিন মোট ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান জানান, ত্রি-মাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র চিহ্নিত করে খনন কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, ‘২০২৫-২৬ সালের মধ্যে মোট ৫০টি কূপ খনন সম্পন্ন করবো। এই কূপটি সেই ৫০টির একটি।’ সংশ্লিষ্টরা জানান, হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপসহ এ পর্যন্ত মোট ২১টি কূপের কাজ শেষ হয়েছে। আরও ২৯টি কূপের কাজ চলমান। চলতি মাসের মধ্যে আরও চারটি কূপের কাজ শেষ হবে।
এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে পুরাতন কূপগুলো ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম দেশের শিল্প-কারখানাকে আরও সচল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।