
নেপালে গত মাসে তরুণদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের ফলে সরকার পতনের পর ক্ষমতায় আসে সুশীলা কার্কির নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের মন্ত্রিসভায় আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) আরও দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চমক হিসেবে এই দুই সদস্য এসেছেন দেশটির তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে। খবর এএফপির।
গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা থেকে। তবে শুধু এটিই একমাত্র কারণ ছিল না, এর সঙ্গে ছিল সরকারের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে তৈরি হওয়া হতাশার বিস্ফোরণ। প্রাণঘাতী সেই সংঘাতে সরকারের পতন হলেও ঝরে পড়ে ৭৩টি তাজা প্রাণ; দেশটির পার্লামেন্ট, আদালত ও সরকারি ভবনগুলোতে দেওয়া হয় আগুন।
নেপালের সরকারি কর্মকর্তারা জানান, রোববার প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওডেল সুশীলা কার্কির মন্ত্রিসভার দুই নতুন সদস্যকে শপথ পড়িয়েছেন। এদের একজন হলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বাবলু গুপ্তা এবং অন্যজন হলেন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রী সুধা শর্মা।
২৮ বছর বয়সী বাবলু গুপ্তা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের জন্য খাদ্য ও শিক্ষা কর্মসূচির জন্য খুবই পরিচিত। হান্ড্রেডস গ্রুপ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তিনি।
সুধা শর্মা পেশায় একজন চিকিৎসক। একজন লেখক হিসেবেও তিনি বেশ পরিচিত। মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু স্বাস্থ্য নীতি নিয়ে এই নারী সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
তারুণ্যের প্রতিনিধিত্বকারী মন্ত্রিসভার এই দুই সদস্যই গত মাসের সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।
রোববার প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির প্রেস সমন্বয়ক রাম রাওয়াল জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ১০ সদস্যের মন্ত্রিসভায় এই দুজনের নাম সুপারিশ করেছিলেন বাড়তি হিসেবে। তবে তা আলোচনার জন্য স্থিতাবস্থায় রাখা হয়েছিল।
এদিকে, নেপালের প্রেসিডেন্টের অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি এবং যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (৭৩) হিমালয়ের কোলের এই দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত। তিন কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে আগামী বছরের ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।