News update
  • Nepal PM resigns as 19 killed in social media ban, graft protests     |     
  • Western Support for Israel Faces Growing Strains     |     
  • Nepal lifts social media ban after 19 killed in protests     |     
  • DU VC vows maximum transparency in Tuesday's DUCSU elections     |     
  • UN Pledges Support After Deadly Nepal Protests     |     

চিঠিতে যা লিখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2025-09-09, 4:39pm

cf224f8996f58a6d5329d7bb7bc2857ee6dbbe8d6d0c1a47-26f5402466d7c4a5daa4a511300600571757414355.jpg




দুর্নীতি ও সামাজিক মাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি, যা গ্রহণ করা হয়েছে।

পদত্যাগপত্রে অলি লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট, নেপালের সংবিধানের ৭৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর, দেশের বর্তমানে বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সংবিধান অনুসারে সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান এবং সমাধানের দিকে আরও পদক্ষেপ নেয়ার জন্য, সংবিধানের ৭৭ (১) (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছি।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে নেপাল। কারফিউ উপেক্ষা করেই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে চলে আন্দোলন। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে।

এছাড়া পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে সেখানে বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যায়। পরে বন্ধ করে দেয়া হয় বিমান চলাচলও।এমন পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান স্থানীয় নেতারা এবং দেশটির সেনাপ্রধান। তারই ধারাবাহিকতায় কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। 

এদিকে, দেশব্যাপী বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করায় নেপালি সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভাইসেপতির বাসভবন থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট। মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়া হয়।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলেও, একপর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্টের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘাত। এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। এই আন্দোলনকে ‘জেন-জি রেভল্যুশন’ নাম দেন বিক্ষোভকারীরা। 

দেশটিতে দু’দিনের সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। আহত হয়েছেন অনেকে। হতাহতের দায় নিয়ে আগেই পদত্যাগ করেন নেপালের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। আর অবশেষে চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীও।