গরমে স্বস্তি পেতে ডাবের পানির কোনো বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে তাই অনেকেই খেতে প্রাধান্য দেন ডাবের পানিকে। কিন্তু অনেকে আবার ডাবের পানি খাওয়ার পর এর নরম শাঁসও খেতে পছন্দ করেন। আপনিও কি তাদের দলে?
কেউ কেউ আবার খালি পেটে খাওয়ার ডায়েটে রাখেন ডাবের শাঁসকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ডাবের পানি ও শাঁস খাওয়ার অভ্যাসের রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা।
ডাবের শাঁস ত্বকের কোষকে পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে। ত্বককে মসৃণ করতে এর জুড়ি নেই বললেই চলে। ত্বকের দাগ, বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি রোদে পোড়া ভাব অপসারণে এই খাবারটি দারুণ কাজ করে।
ডাবের পানিতে ক্যালোরি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। এছাড়াও পানিতে থাকে ফাইবার। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডাবের পানির চেয়ে শাঁসে বেশি ফাইবার রয়েছে।
ডাবের শাঁসের পুষ্টিগুণ হজমের উন্নতিতে উপকারী। এটি অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য় করে। যারা ওজন বাড়াতে চান তারা ডাবের শাঁস খেতে পারেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা ও হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী ডাবের পানি ও শাঁস। সারাদিন এনার্জি অনুভব করতেও এ খাবার নিয়মিত খেতে পারেন।
সতর্কতা
ডাবের পানি ও এর শাঁস শরীরের জন্য উপকারী হলেও কারো কারো জন্য তা বিপদজনক। যদি আপনি কিডনি সমস্যার রোগী হন, বেশি ওজনের অধিকারী হন, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হয়, অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন তবে ডাবের পানি ও শাঁস কাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।