দেশের আরও ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সক্ষমতা অনুযায়ী এবার ১০০ ও ২০০ টন করে চাল রফতানি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি শাখা-২। অনুমতি দেয়ার এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রণালয় প্রধান আমদানি–রফতানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশের আরও ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ৫ হাজার ৮০০ টন সুগন্ধি চাল রফতানি করতে পারবে। সক্ষমতা অনুযায়ী এবার ১০০ ও ২০০ টন করে চাল রফতানি করা যাবে। অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও রফতানি যোগ্যতার পরিমাণ দেখুন এখানে।
চাল রফতানিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে বেশকিছু শর্তও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, প্রতি কেজি চালের রফতানি মূল্য হতে হবে কমপক্ষে ১ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে হিসাব করলে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ১৯৬ টাকা ৮০ পয়সা।
অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি চাল কেউ রফতানি করতে পারবে না। আর প্রতিটি চালান জাহাজীকরণ শেষে রফতানি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি-২ শাখায় জমা দিতে হবে।
অনুমোদনপত্র কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। অর্থাৎ অনুমোদিত রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান নিজে রফতানি না করে অন্যের মাধ্যমে রফতানি করতে পারবে না অর্থাৎ সাব-কন্ট্রাক্ট দেয়া যাবে না।
রফতানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে সরকার চাইলে যেকোনো সময় অনুমতি বাতিলও করতে পারবে।
শুল্ক কর্তৃপক্ষ রফতানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। পরবর্তী আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী অনুমোদিত পরিমাণ হতে প্রকৃত রফতানির পরিমাণ সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রমাণকসহ আবেদন দাখিল করতে হবে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ১৫০ টন সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দুই দফা মিলিয়ে অনুমোদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯৫০ টন। সময়।