সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রোববার (৬ এপ্রিল) শেষ হয়েছে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) আবারও ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। ওই বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা করে বাড়াতে চায়।
বিষয়টি গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) জানিয়েছিল সংগঠনটি। ১ এপ্রিল থেকেই তারা নতুন দর কার্যকর করতে চেয়েছিল।
কারখানার মালিকদের দাবি, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত মাসে। এ কারণে তারা দাম বাড়াতে চান। তবে রেয়াত সুবিধা বজায় থাকলে দাম বাড়াতে চান না তাঁরা।
অন্যদিকে কর রেয়াতের সুবিধা বহাল রাখার অবস্থায় নেই এনবিআর। এ কারণেই এবারের রোজার মাঝামাঝি সময়ে ট্যারিফ কমিশন ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ের শুল্ক-কর রেয়াতের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ করে এনবিআরকে চিঠি দেয়। কিন্তু এনবিআর এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ থেকে ১৭৬ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮৪৫ থেকে ৮৫০ টাকা। আর এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ থেকে ১৬৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেলের দাম ১৪৪ থেকে ১৫০ টাকা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে রোববারের বৈঠকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) দফতরের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিসহ ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকেরা। সময়।