News update
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     

উৎপাদন ভালো হলেও হাসি নেই পেঁয়াজ চাষিদের মুখে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-01-29, 10:44am

reterwerwer-2389aee4c13c69560525771bb842c1e31738125849.jpg




কন্দ জাতের পেঁয়াজ চাষ শেষে নাটোর জেলায় রোপণ করা হচ্ছে বীজ পেঁয়াজের চারা। উৎপাদন ভালো হলেও হাসি নেই কৃষকদের মুখে। কৃষকরা বলছেন, ভরা মৌসুমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় কমে গেছে দাম। আগামী ৩ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি কৃষকদের। আর কৃষিবিভাগ বলছে, পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তারা।

নাটোর জেলায় কৃষকরা রোপনকৃত কন্দ জাতের পেঁয়াজ তুলছেন। কন্দ জাতের পেঁয়াজ উত্তোলনের পাশাপাশি পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। কৃষকদের দাবি, পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখায় ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আগামী ৩ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার দাবি তাদের।

নলডাঙ্গা উপজেলার ঠাকুর লক্ষিপুর বিলের কৃষক রশিদ বলেন, গত মৌসুমে পেঁয়াজের চড়া  দাম থাকায় কন্দ জাতের পেঁয়াজের বীজ কিনতে হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা মণ। সার কীটনাশকসহ ফসল উৎপাদনের শ্রমিক ও সেচের খরচ সহ জমি লিজ নিয়ে প্রতি বিঘায় ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। বর্তমানে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে ১৩শ টাকায়। আর বিঘা প্রতি পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ মণ। প্রতিবিঘায় কন্দ জাতের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকায়। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

একই উপজেলার পাটুল পূর্বপাড়া বিলের কৃষক শাহীন বলেন, পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখায় ন্যায্যমূল্য মিলছে না। তাই আগামী ৩ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি রাখতে প্রতি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দাম নিশ্চিত করতে হবে।

নাটোর জেলায় কন্দ পেঁয়াজ উত্তোলনের পাশাপাশি চলছে চারা জাতের পেঁয়াজ রোপণ। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ অব্যাহত থাকবে। কন্দ পেঁয়াজের দাম কমে আসার প্রভাব পরেছে চারার উপর। প্রতিমণ চারা উৎপাদনে ৮শ টাকা খরচ হলেও বিক্রি হচ্ছে ৪শ থেকে ৬শ টাকা মণ।

নাটোর শহরের তেবাড়িয়া হাটে চারা বিক্রি করতে আসা কৃষক আরশেদ আলী বলেন, কন্দ পেঁয়াজের দাম কমে আসায় চারা উৎপাদন করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, পেঁয়াজের বর্তমান দাম অনুযায়ী কৃষকরা কিছুটা লোকসান গুনছেন। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত মৌসুমে নাটোর জেলায় ৮৯ হাজার ৫২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। আর চলতি বছর ১ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছে কৃষিবিভাগ।