News update
  • Govt welcomes Tarique Rahman’s return, assures full coop     |     
  • BNP strikes polls deal with 7 more partners, reserves 8 seats     |     
  • BRTA tops corruption list among public service offices: BBS     |     
  • Toll-free entry for vehicles via airport area expressway Thursday     |     
  • ‘Very unhealthy’ air quality persists in Dhaka     |     

ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2023-02-17, 12:35pm

resize-350x230x0x0-image-212382-1676610395-41e504eea64eb82d4cee9c7ff4a554ec1676615728.jpg




স্বস্তি নেই দেশের পোল্ট্রি খাতেও। ভোক্তাদের চরম বিপাকে ফেলে আবারও দাম বৃদ্ধির নতুন রেকর্ড গড়েছে ব্রয়লার মুরগি। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকায়। এ ছাড়া গত এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এতটা বাড়তি দামে ব্রয়লার মুরগি কখনও বিক্রি হয়নি। তবে শুধু বয়লারের ক্ষেত্রেই নয়, বরং বাজারে বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। পাশাপাশি উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের ক্ষেত্রেও।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়। এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মতো। বাজারে এখন সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায়। পাশাপাশি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়।

এদিকে বিগত সপ্তাহের তুলনায় ডিমও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। প্রতিনিয়ত মুরগির এই দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতারা জানান, পোলট্রি খাদ্য, বাচ্চা, ওষুধসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।

সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আসন্ন রমজানে গিয়ে আরেও বাড়বে, তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ব্রয়লার মুরগিও। পাশাপাশি দেশের এই ক্রমবর্ধমান দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানিয়েছেন, বাজারের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও অনেক খামার বন্ধ হওয়ায় বাজারে ডিম ও মুরগির সংকট দেখা দিয়েছে। আর এর ফলেই একশ্রেণির ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছেন।

বিপিএর সভাপতি আরও জানান, এখনকার দাম মাত্রাতিরিক্ত। এত বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হোক, সেটি আমরাও চাই না। কারণ, প্রান্তিক খামারিরা বাড়তি দাম পাচ্ছেন না।

এর আগে, দেশের বাজারে ‘সস্তা মাংস’ বলে পরিচিত ছিল ব্রয়লার মুরগি। তবে এই সস্তা মুরগি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। এ ছাড়া দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় প্রাণিজ আমিষের বড় জোগান আসে ব্রয়লার মুরগি থেকে। তুলনামূলক কম দাম থাকায় চাহিদা রয়েছে সব শ্রেণির মানুষের কাছেই। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর ফার্মের মুরগির চাষ হয় ৩১ কোটি ১৮ লাখ। গত কয়েক বছরে উৎপাদন ক্রমে বেড়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজার চাহিদার সঙ্গে উৎপাদন বাড়লেও কাঁচাবাজারের মতো ডিম ও মুরগির বাজারেও সময়ে–সময়ে অস্থিরতা দেখা দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে অভিযান ছাড়াও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এবার বাজারে সরকারি তৎপরতা কম দৃশ্যমান হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, বাজারে ডিম ও মুরগির দাম ঠিক কত হলে যৌক্তিক হবে, সেটি নির্ধারণ করা নেই। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সেই সুযোগও নেই। তবে সরকার যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে, সেসব পণ্যের দামে ক্রেতারা ঠকছেন কি না, সেটি নিয়মিতভাবে তদারক করা হয়।

বর্তমান বাজারে শুধু মুরগির মাংসের দামি নয় বরং এখন সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি। শুক্রবার সকালে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়; আর খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। তবে বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় নাগালের মধ্যে চলে এসেছে শীতের বেশ কিছু সবজি। তবে বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম একটু বেশি, প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। মাছের মধ্যে রুই মাছ মানভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চাষের তেলাপিয়া ও পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার আশপাশে। পাশাপাশি বাজারে চিনির সংকট এখনও কমেনি। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়েও বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। লাল চিনির দাম প্রতি কেজি ১৫০ টাকার আশপাশে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।