সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আপত্তিকর ভিডিও’ পোস্ট করা নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে দুপক্ষ। এতে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তেরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া ভিডিও পোস্ট করা সেই যুবককেও আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, জননিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা ও জনস্বার্থ বজায় রাখার লক্ষ্যে হাটহাজারী উপজেলার মীরের হাট থেকে এগারো মাইল সাবস্টেশন পর্যন্ত এবং উপজেলা গেট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত এলাকার রাস্তার দুই পাশসহ সংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাত ১০টা থেকে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
এ সময় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র বহন এবং পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রিত হয়ে চলাচলও নিষিদ্ধ থাকবে।
এর আগে সন্ধ্যায় উত্তেজনাকর ঘটনার জেরে পুলিশ আরিয়ান ইব্রাহীম (২০) নামে এক যুবককে আটক করে। সে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকিয়া দরবার শরীফ এলাকার মৃত মো. মুছার ছেলে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে চট্টগ্রামের জশনে জুলুসে যাওয়ার পথে হাটহাজারী মাদরাসার সামনে দাঁড়িয়ে আরিয়ান অশালীন ভঙ্গিতে ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করেন। মুহূর্তেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে শনিবার সন্ধ্যায় ষোলশহর থেকে ফেরার পথে শফিকিয়া দরবার শরীফ এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
অভিযুক্ত আরিয়ান ফেসবুকে নিজেকে ফটিকছড়ি পৌরসভা ছাত্রদলের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় দিলেও ফটিকছড়ি পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি একরাম উল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, আরিয়ান ছাত্রদলের কেউ নন। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তিনি। আরিয়ানের বিরুদ্ধে সংগঠনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রশাসনকে আইনগত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ বলেন, উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। দুপক্ষ মুখোমুখি থাকায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।আরটিভি