News update
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     
  • Russia 1st country to recognize Taliban rule in Afghanistan     |     
  • New report seeks reforms for free, pluralistic media in BD     |     

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব না: মাহফুজ আলম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-07-04, 7:57am

img_20250704_075438-ccbee34e3625a7b7eb732c49a14f12221751594236.jpg




জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা কোনও ‘মব’ নয় মন্তব্য করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে দরকার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, আইনের শাসন এবং কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র।’

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘মব ভায়োলেন্স’ শুরু হয়েছিল বিহারি জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার মধ্য দিয়ে। এরপর মব টার্গেট হয়েছে ছাত্র ও তরুণ মুক্তিযোদ্ধা অথচ মুজিববাদবিরোধীদের ওপর। বিগত ৫৩ বছরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর মব ভায়োলেন্স হয়েছে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ ইন্ধনে।

তিনি আরও বলেন, যদি মবের সংজ্ঞা প্রসারিত করে দেখা হয়, তাহলে ‘জনতার আদালত’, ‘জনতার মঞ্চ ৯৬’, ‘২৮ অক্টোবর’, এমনকি ‘শাহবাগ আন্দোলন’ও মব জাস্টিস বা মব ভায়োলেন্সের আওতায় পড়ে যায়।

মাহফুজ আলম মনে করেন, বর্তমান সামাজিক ফ্যাসিবাদ মূলত গত ১৬ বছরের রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদেরই প্রতিক্রিয়া ও বিকার। তিনি বলেন, ‘এটি না বুঝে সামাজিক ফ্যাসিবাদ এবং মব মানসিকতা মোকাবিলা করা অসম্ভব।’ শুধু ‘ইসলামোফ্যাসিস্ট’ বলেও সমস্যার সমাধান হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তার মতে, জুলাইয়ের বিপ্লব যে একটি ক্রস-ইডিওলজিকাল সংলাপের সুযোগ তৈরি করেছে, সেটিকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক ফ্যাসিবাদ দূর করার চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরের গণতন্ত্রহীনতা এবং আইনের শাসনের অবক্ষয়ই মব মানসিকতার জননী—এই প্রশ্ন তুলতে হবে।’

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক ও সামাজিক ফ্যাসিবাদের অংশীদার না হয়েও, মব ভায়োলেন্সের দায় নিতে হচ্ছে জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে।’

তিনি দাবি করেন, যদি জুলাইয়ের পরে সত্যিকার অর্থেই মব ভায়োলেন্স সংঘটিত হতো, তাহলে এত ‘সুশীলতা’ ও ‘এপলজেটিক’ ভাষা ব্যবহার করা হতো না।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে আমাদের কাজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। মাজারে হামলা, বইমেলার হামলা—এসব স্পেসিফিক ইস্যুতে আমি আগেও কথা বলেছি, ভবিষ্যতেও বলবো।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘জুলাই বিপ্লবকে এখন মুজিববাদী বাম এবং আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিকর্মীরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হিসেবে উপস্থাপন করছেন, যেন এটি জয়-এর কথামতো একটি ‘মবোক্রেসি’ ছিল।’’

তথ্য উপদেষ্টার দাবি, ‘যদি সত্যিই জুলাই ছিল মবোক্রেসি, তাহলে পুলিশ ও আনসারবিহীন দেশ এক-দেড় মাস নিরাপদ থাকতো না। এমনকি ওবায়দুল কাদেরকেও ছাত্র-জনতা বাঁচিয়ে দিয়েছে, যা প্রমাণ করে তারা প্রতিশোধপরায়ণ ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যারা আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করতে চেয়েছিল, তাদের ‘মব’ বলা বন্ধ করতে হবে। যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটে বা সহিংসতা হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’

শেষে মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই ও লড়াই—এ দুটি শব্দ এখন সমার্থক। আমরা এখনও কারবালা পেরোতে পারিনি, সেটিই সত্য। তবে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতার শ্রদ্ধা অতুলনীয়। তারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।’