
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে গত দুইদিনের আলোচিত বিষয় নারী ক্রিকেটার জাহানারা আলমের সাক্ষাৎকার। একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ের দলে খেলাকালীন যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন তৎকালীন জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জাহানারা আলমের সেই সাক্ষাৎকার নাড়িয়ে দেয় দেশের ক্রীড়াঙ্গন। সাবেক থেকে বর্তমান অনেক অ্যাথলেট প্রতিবাদ জানান এই ঘটনার। নিরপেক্ষ তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানান তারা।
জাহানারার সেই সাক্ষাৎকারের পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছিল। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি তারিক উল হাকিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে বিসিবি।
কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন বিসিবির পরিচালক রুবাবা দৌলা এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাংলাদেশ উইমেন্স স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সারওয়াত সিরাজ শুক্লা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারা জানান, জাতীয় দলের সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু ও নারী বিভাগের সাবেক ইনচার্জ প্রয়াত তৌহিদ মাহমুদ তাকে যৌন হয়রানি করেছিলেন। এসব বিষয়ে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
মঞ্জু ও তৌহিদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন জাহানারা। সাবেক নির্বাচক মঞ্জুকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘উনি একদিন আমার কাছে আসলেন, আমার কাঁধে হাত রেখে বলছিলেন, তোর পিরিয়ডের কতদিন চলছে। পিরিয়ড শেষ হলে বলিস, আমার দিকটাও তো দেখতে হবে। পিরিয়ড শেষ হলে, যখন ডাকবো চলে আসিস।’
মঞ্জুকে নিয়ে অন্য এক অভিযোগে জাহানারা বলেন, ‘বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচে, যখন আমরা লাইনে হ্যান্ডশেক করি, তখন তিনি (মঞ্জুরুল) হ্যান্ডশেক না করে জড়িয়ে ধরতেন।’
জাহানারা অভিযোগ করেছেন, শুধু এই দুজনই নন, জাতীয় দলের কিছু সাবেক ও বর্তমান কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা ও কয়েকজন খেলোয়াড়ও তার ক্যারিয়ার নষ্ট করার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।