
ওয়ানডে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি নিয়ে আগেই হুমকি দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান কোচ ড্যারেন সামি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমে কোচের কথার প্রমাণও দিয়েছে শিষ্যরা। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশকে ১৬ রানে হারিয়ে সিরিজে শুভসূচনা করেছে ক্যারিবিয়ানরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১৬৬ রানে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে ২ বল হাতে থাকতে ১৪৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে ১৬ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে ১২ রান তুলতে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম। কিন্তু পরের ওভারেই ক্যাচ আউট হন তিনি। ৫ বলে ১৫ রান করেন এই ওপেনার।
তিনে ব্যাট করতে নেমে রান তুলতে পারেননি লিটন দাসও। ৮ বলে ৫ রান করে ফেলেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাইফ হাসানও। ৭ বলে ৮ রানে করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ৪ বলে ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শামীম পাটোয়ারী। এতে পাওয়ার প্লেতে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা।
এরপর দলের হাল ধরেন সোহান ও হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে অষ্টম ওভারে দলীয় ফিফটি পূরণ করে টাইগাররা। তবে ৫ রান করে পিয়েরের বলে বোল্ড হন সোহান। এরপর হৃদয় সঙ্গ দিতে থাকেন তানজিম সাকিব।
কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি হৃদয়। ২৫ বলে ২৮ রান করে তিনি আউট হলেও ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন সাকিব। দুজনের ব্যাটে ভর করে হারের ব্যবধান কমাতে থাকে বাংলাদেশ।
কিন্তু ২৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন সাকিব। এক ওভার পর ১৩ বলে ২০ রান করে ফেরেন নাসুম। এতে ১২৩ রানে ৮ উইকেট হারায় টাইগাররা। শেষ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। কিন্তু ওভারে চতুর্থ বলে পিছনে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে পা দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করেন তাসকিন।
এতে তার ৮ বলে ১০ রান এবং মোস্তাফিজের অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ২ বল হাতে থাকতে ১৪৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে ১৬ রানের জয় পায় ক্যারিবিয়ানরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন ও জনসন হোল্ডার জায়ডান সিলেস। এ ছাড়াও আকিল হোসেইন দুটি, রোমারিও শেফার্ড এবং খারি পিয়েরে নেন এক উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে দেখে শুনে এগোচ্ছিলেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ব্যান্ডন কিং ও অলিক অ্যাথেনজে। দুজনের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৩৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নবম ওভারে রিশাদকে বোলিংয়ে পাঠান লিটন। আর দ্বিতীয় বলে অ্যাথেনজেকে বোল্ড আউট করে ফেরান তিনি। ২৭ বলে ৩৪ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। তবে অপর প্রান্ত থেকে রান তুলতে থাকেন কিং। কিন্তু ১৩তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় ধাক্কা দেন তাসকিন।
৩৬ বলে ৩৩ রান করা কিংকে প্রথম এবং দ্বিতীয় বলে রাদারফোর্ডকে ডাক আউট করেন তাসকিন। এতে ৮২ রানে ৩ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। এরপর রভম্যান পাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তিনে ব্যাট করতে নামা শাই হোপ।
শেষ দিকে বলে বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন হোপ ও পাওয়েল। ২০তম ওভারে তিন ছক্কায় মোট ২২ রান দেন সাকিব। এতে হোপের ২৮ বলে ৪৬ রান এবং পাওয়েলের ২৮ বলে ৪৪ রানে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে পুঁজি পায় সফরকারীরা।