প্রথম দুটি ওয়ানডেতেই ব্যাটারদের ব্যর্থতা হতাশায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশেকে।
হারের বৃত্ত থেকে যেন বের হতেই পারছে না বাংলাদেশ। বারবার একই ভুল, একই পরিণতি— আরও একবার সিরিজ হারের হতাশায় ডুবেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ ইতোমধ্যে হাতছাড়া। প্রিয় ওয়ানডে ফরম্যাটেও ধারাবাহিক ব্যর্থতায় তলানিতে ঠেকেছে আত্মবিশ্বাস। এখন সামনে শুধু ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই। সেই লক্ষ্যেই তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে মিরাজ-শান্তরা।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে আফগানদের। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিল সিরিজ বাঁচানোর। সেই লক্ষ্য পূরণে সামনে থেকে লড়লেন বোলাররা। নিজেদের কাজটা বোলাররা ঠিকমতো করলেও ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন আরও একবার। যে কারণে আফগানদের কাছে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে এই লজ্জা থেকে বের হয়ে আসাই বড় চ্যালেঞ্জ।
দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের হারের কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও কাঠগড়ায় তোলেন ব্যাটারদের ব্যর্থতাকে।
মিরাজ বলেন, ‘আমরা খুব ভালো বোলিং করেছি। কিন্তু খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। আমি ক্রিকেটারদের শুরুতেই বলেছিলাম যে, আমাদের পার্টনারশিপ দরকার। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারিনি। আমরা পার্টনারশিপ শুরু করলেও দায়িত্ব নিয়ে সেটি বড় করতে পারিনি। আমাদের ব্যাটাররা দায়িত্ব নিতে পারেননি।’
দায়িত্ব নিতে না পারার গল্পটা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতেও ব্যর্থতার পাল্লা ভারি হচ্ছে। তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে আত্মবিশ্বাস। হারানো প্রত্যয় ফিরে না পেলে কঠিন হবে আগামীর দিনগুলো।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।