‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। এতে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে অন্তত ৩৮ জন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—রেদোয়ান (২৪), আসিফ (২০), রহমান (২২), আকিব (২১), আরিফ (২২), রফিক (২৫), শফিক (২৫), ওমর ফারুক (২৪), সাংবাদিক মেহেদী হাসান (২৪), অর্থিব (২১), আপেল (২১), মুজাহিদ (২৩), রায়হান (২৩), ফারুক (২৩), আবু বক্কর (২২), নিউটন (২০), হানিফ (২২), জীবন (২২), শহীদ (২০), রাসেল (২২), জিসান (২২), জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা পোস্ট প্রতিনিধি মাহাতাব লিমন (২৩), শহীদ (২৪), রাসেল (২৩), গৌরব (২৫), আব্দুল মান্নান (২২), নাহিদ (২৩), জুয়েল (২৩), মোহন (২২), সোহানুর রহমান সানি (২৪), মাছুমা (২০), সংগ্রাম (২০), বাইতুল (২২), রাজু (২২), সুমন (২২), রাজীব (২২), আকাশ (২২) এবং বাংলা ট্রিবিউন জবি প্রেসক্লাব সভাপতি আসাইফ আশরাফ (২৬)।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের হাত ভেঙে গেছে এবং অনেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব লিমন বলেন, “যৌক্তিক তিন দফা দাবি নিয়ে আমরা যমুনার উদ্দেশে শান্তিপূর্ণভাবে লংমার্চ করছিলাম। কিন্তু কাকরাইলে পুলিশ হঠাৎ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কয়েকজনের গুরুতর রক্তপাত হয়েছে, হাত ভেঙে গেছে। এমন বর্বর হামলা জুলাই আন্দোলনেও হয়নি। নারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরও ছাড় দেয়নি পুলিশ। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”
তিনি আরও জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, “পুলিশি লাঠিচার্জে আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢামেকে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত ৩৮ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন।”