দিনাজপুরে কৃষকদের মাঝে সম্ভাবনার আশা জাগাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল ও জিংক সমৃদ্ধ বোরো মৌসুমের নতুন জাতের ধান ব্রি-১০২। ধানের জেলা দিনাজপুরে এই জাতের নতুন ধান খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষিতে পরিবর্তন আনবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে ,সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের দানিহারী গ্রামের একটি প্রদর্শনী প্লটে (১ বিঘা জমিতে) এই জাতের ধান আবাদ করেছেন কৃষক মো. গোলাম মোস্তফা।
তিনি জানান, এক শতাংশে ফলন দিয়েছে ১ মনেরও বেশি। চিকন ধানের জাতের মধ্যে এই জাতই সর্বোচ্চ ফলন দিয়েছে। এছাড়া নতুন এই জাতের ধানে প্রচলিত অন্যান্য জাতের ধানের মতো রোগ-বালাই নেই। লম্বা ও চিকন জাতের এই ধানের ভাত ঝরঝরে এবং খেতে সুস্বাদু। আর স্বল্প খরচে ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হবেন।
কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এই ধান দেখে ভবিষ্যতে চাষাবাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেক কৃষক। তারা আমরা কাছে এই ধানের বীজ চাইছেন।
এদিকে সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হোসাইন মো. আবু সুফিয়ান জানান, পিকেএসএফ কৃষি ইউনিটের বীজ সহযোগিতায় সদর উপজেলায় এই প্রথম উচ্চ ফলনশীল ও জিংক সমৃদ্ধ বোরো মৌসুমের নতুন জাত ব্রি-১০২ আবাদ করেছেন একজন কৃষক। এই ধানের শীষগুলো খুবই পরিপুষ্ট ও ওজনেও বেশি। আবাদে খরচ কম ও রোগ বালাই তুলনামূলক অনেক কম। ব্রি ধান-২৯ বা চিকন জাতের বিকল্প হিসেবে এই ধানের আবাদ করা যায়। উৎপাদন অনেকাংশে বেশি হওয়ায় এই নতুন জাতের ধান আবাদে আশপাশের অনেক কৃষক অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
এবার ১ বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে, যা আগামীতে ১০ থেকে ১২ বিঘা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘উচ্চ ফলনশীল ও জিংক সমৃদ্ধ নতুন জাতের ধান ব্রি-১০২ দিনাজপুর জেলায় এবার আবাদ হয়েছে ২২০ হেক্টর জমিতে। দিন দিন এই ধানের আবাদ বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২৩ সালে জিংক সমৃদ্ধ বোরো মৌসুমের জন্য উচ্চ ফলনশীল জাত ব্রি ধান-১০২ হিসাবে দেশজুড়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করে।