কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে ‘সত্যিকার অর্থেই’ যুক্তরাষ্ট্রের একান্নতম অঙ্গরাজ্য হিসেবে একীভূত করতে চাচ্ছেন। সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদের লোভেই ট্রাম্প এমন কথা বলছেন।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় ট্রুডো এসব কথা বলেছেন। তখন ভুলবশত মাইক্রোফোন চালু ছিল, যে কারণে ট্রুডোর এই বক্তব্য রেকর্ড হয়ে যায়।
ব্যবসায়ী নেতাদের ট্রুডো বলেন, কানাডার সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদের লোভেই ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছেন। আমাদের দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করেই এটা সহজে করা সম্ভব বলে তার মনে হয়েছে। তারা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে সচেতন—আমাদের কী আছে এবং সেসব থেকে তারা কীভাবে সুবিধা নিতে পারেন। তার (ট্রাম্প) সঙ্গে আমার আলাপচারিতায়... (এরপরেই মাইক্রোফোন বন্ধ হয়ে যায়)।
এ বিষয়ে পরবর্তীতে ট্রুডোর অফিসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে আলবার্টা ফেডারেশন অব লেবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে একদিনের একটি সম্মেলনের উদ্বোধনীতে দেওয়া বক্তব্যে ট্রুডো বলেন, ‘কানাডীয় পণ্যে ট্রাম্পের চড়া শুল্কারোপের হুমকি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে কানাডাকে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। শুল্কারোপ থেকে বাঁচতে কানাডা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাধাগুলো দূর করে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে হবে কানাডাকে,’ বলেন তিনি।
ট্রুডো আরও বলেন, ‘আর এটিই সেই মুহূর্ত। দেশের ইতিহাসের এই সময়টি ব্যাপক গুরুত্ব বহন করছে।’
এর আগে সোমবার কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ মাদক ফেনটানিল পাচার ও অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ বন্ধে সহযোগিতার শর্তে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন।