
দেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের অনুভূতি। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত এ জেলায় হালকা কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়।
আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা বেশি ছিল। তবে সূর্য উঠার পর চারপাশ ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, এই সপ্তাহজুড়ে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ২, বুধবার ১২ দশমিক ৯, মঙ্গলবার ১২ দশমিক ৮, সোমবার ১৩ দশমিক ৪, রোববার ১২ দশমিক ৬, শনিবার ১৪ দশমিক ৭ এবং শুক্রবার ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনে রোদ থাকায় শীতের প্রভাব তুলনামূলক কম থাকে, তবে সন্ধ্যা নামলেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সন্ধ্যার পর হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে, ফলে শীতের কাপড় ছাড়া বাইরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। রাতে ঠান্ডা এতটাই বেড়ে যায়, কম্বল না গায়ে দিলে ঘুমানোই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
অটোরিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যার পর রাস্তায় যাত্রী কমে যায়। ঠান্ডা হাওয়া লাগলে হাত-পা জমে যায়। গায়ে চাদর না নিলে অটো চালানোই কষ্ট হয়ে পড়ে।’
এদিকে স্কুলশিক্ষক নাসিমা আক্তার বলেন, ‘ভোরের দিকে ঠান্ডা একটু বেশি অনুভূত হয়। স্কুলে এখন পরীক্ষা চলছে। ছাত্র-ছাত্রীরা বেশিরভাগই সোয়েটার পরে স্কুলে আসে। তবে কুয়াশা না থাকায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘রাত বাড়লেই ঠান্ডা বাড়ে। সূর্য উঠলেই তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। আজ ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। মাসের শেষে হালকা শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।’
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, ‘শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।’