News update
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     
  • Sustainable, rights-based solutions to Rohingya crisis urged     |     

১০ দিনে পোল্ট্রি খাতে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-04-26, 6:43am

eopiwerpwiep-5ae2c35ad1d4e3dfceb0d1a3844576501714092301.jpg




চলমান তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোকে মুরগির মৃত্যু যেন থামছেই না। টানা ১০ দিনের এই তাপপ্রবাহে পোল্ট্রি খাতে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিদিন দাবদাহে ১ লাখের মতো মুরগি হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। এতে করে ক্ষতি হচ্ছে ২০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এখাতে ১০ দিনে ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

বিগত কয়েকদিনে যেসব মুরগি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে তার ৮০ শতাংশই ব্রয়লার মুরগি। এছাড়া ১৫ শতাংশ লেয়ার ও ৫ শতাংশ সোনালি মুরগি এই দাবদাহে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। এরকম চলতে থাকলে দেশে মাংস ও ডিম উৎপাদন ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এতে করে জুলাই-আগস্ট মাসে মাংস ও ডিমের দাম ভয়াবহ বেড়ে যাবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

অঞ্চলভিত্তিক পর্যালোচনা সাপেক্ষে বিপিএ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি মুরগি মারা গেছে নরসিংদী অঞ্চলে। গত ১২ দিনে এ অঞ্চলে ৩ লাখ মুরগি মারা গেছে। এছাড়া গাজীপুর-ময়মনসিংহ অঞ্চলে ২ লাখ, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৭৫ হাজার, সিলেট অঞ্চলে দেড় লাখ, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ এবং অন্যান্য অঞ্চলেও উল্লেখযোগ্য হারে মুরগি মারা যাচ্ছে।

বর্তমানে দেশে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার প্রান্তিক মুরগির খামার রয়েছে। ২০ হাজার খামারি করপোরেট গ্রুপের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মে যুক্ত আছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে নতুন করে আবারও বন্ধ হয়ে যাবে ১৫ থেকে ২০ হাজার খামার। তবে করপোরেট গ্রুপগুলো ও ঢাকার তেজগাঁওসহ অন্যান্য বাজারের অধিকাংশ ডিম ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজের মাধ্যমে ডিম মজুত করা শুরু করেছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা বেশি দামে ডিম ও মুরগি বিক্রি করবেন বলে দাবি করা হয় বিপিএ’র পক্ষ থেকে।

এছাড়া বিপিএ’র পক্ষ থেকে পোল্ট্রি খামারিদের তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে: শেডে সঠিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা, ধারণ ক্ষমতার মধ্যে কম মুরগি রাখা, পানিতে ভিটামিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করা, লেবু এবং আখের গুড় দিয়ে দুপুরে শরবতের ব্যবস্থা করা, মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করা, শেডের ছাদে ভেজা পাটের ব্যাগ রাখা এবং নিয়মিত পানি ঢালা। পাশাপাশি দুপুরে মুরগিকে খাবার না খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছে বিপিএ। সময় সংবাদ