News update
  • Shibir’s Silent Resilience Yields Historic Ducsu Victory     |     
  • Nepal army deployed as protesters want ex-CJ as interim leader     |     
  • RMG workers block Dhaka-Mymensingh highway for Aug salary     |     
  • Netanyahu, we're not leaving Gaza City: Palestinians     |     
  • JUCSU voting in progress in a festive mood     |     

শাম্মীর বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অপরাধ 2025-08-04, 7:09am

028e926f3579626f256a863549ff162b4ab3f2d16ef76e8e-e76f37e4b0f9d3661bff76441623d6271754269747.jpg




রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় করা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাও।

রোববার (০৩) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) বিচারক মো. সেফাত উল্লাহর খাস কামরায় রিয়াদ জবানবন্দি দেন। একই ঘটনায় গ্রেফতার অপর তিন আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

এ তিন জন হলেন- ইব্রাহিম হোসেন, মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী।

আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করার কথা স্বীকার করেন।

গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রিয়াদকে এই মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করার পর তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের ভূমিকা ও সহযোগীদের কার কী ভূমিকা, তা বর্ণনা করেছেন বলে জানা গেছে।

আদালতের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদ তার জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি ও তার সহযোগীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এই টাকার মধ্যে রিয়াদ নিজে পাঁচ লাখ টাকা রাখেন। অন্য ৫ লাখ টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেন। নিজের পাঁচ লাখ টাকা তিনি তার বাড্ডার বৈঠাখালির একটি বাড়ির সাততলা রুমে রাখেন। সেখান থেকে কিছু টাকা তিনি খরচ করেন। আর ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ওয়ার্ডরোবের মধ্যে রাখেন। গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশ ওই টাকা উদ্ধার করেছে।

জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের উদ্ধার করা পুরো টাকাটাই শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে নেয়া চাঁদার টাকা। রিয়াদ জবানবন্দিতে আরও বলেন, তারা শাম্মী আহমেদের স্বামীকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ১০ লাখ টাকা দেন।

তিনি স্বীকার করেছেন, তার সহযোগী গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব গত ২৬ জুলাই বাদীর কাছ থেকে আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে গুলশানের বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এই পাঁচজনসহ আরও দুই-তিনজন চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেছেন, তিনি নিজে ও জানে আলম অপু চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা গুলশানের আরও কয়েকজনের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন।