সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণের ওপর কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এখন থেকে সপ্তাহে মোট ৫ ঘণ্টা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম ফজলুল হক খানের স্বাক্ষর করা এক পরিপত্রে এই নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়।
দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়। এতে মোট ৮টি বিষয় উল্লেখ করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের ওপর।
পরিপত্রের ৬ নম্বর নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে সপ্তাহে শুধু দুই দিন (সোমবার ও বৃহস্পতিবার) ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। সাক্ষাতের জন্য দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কোনো ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সরকারি হাসপাতালের সীমানার মধ্যে অবস্থান করতে পারবেন না।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, সাক্ষাতের সময় সব প্রতিনিধিকে অবশ্যই নিজ নিজ কোম্পানির দেয়া পরিচয়পত্র দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে, কোনোভাবেই রোগীর কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের মতে চেম্বারগুলোতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড়ে রোগীদের ভোগান্তি এবং কর্মপরিবেশ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বা নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ লিখতে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করারও অভিযোগ রয়েছে।